মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিকের দপ্তরে মোতায়েন হতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী! সিইও অফিসে একগুচ্ছ অভিযোগ জানিয়ে এল তৃণমূল
বর্তমান | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিকের দপ্তরে মোতায়েন হতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এ ব্যাপারে আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল কমিশন। এবার সেই নির্দেশিকা লাগু হতে চলেছে। শনিবারই সিইও দপ্তরের চারপাশ প্রদক্ষিণ করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকেরা। এছাড়াও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে সিইও মনোজ আগরওয়ালের। নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে তিনি ওয়াই প্লাস স্তরের নিরাপত্তা পাবেন।
এসআইআর ইস্যুতে গত কয়েক দিন ধরে একাধিকবার কমিশনের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন বিএলও’রা। দফায়-দফায় তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। একাধিকবার কমিশনের দপ্তরে ঢোকার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। পুলিশি ব্যরিকেড উপেক্ষা করেই অফিসে ঢোকার চেষ্টা হয়েছে। এমনকী, কোনও-কোনও বিএলও ব্যারিকেডের উপরেও উঠে পড়েছিলেন। এই আবহের মধ্যেই এবার সিইও দফতরের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আজ রবিবার ছুটির দিন। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে সিইও অফিসের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখা যেতে পারে।
এদিকে, শনিবার শুনানি শুরুর দিনই সিইও দফতরে গিয়ে একাধিক অভিযোগ জানাল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সিইও দফতর থেকে বেরিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মানস ভুঁইয়া, মলয় ঘটক, অরূপ বিশ্বাস ও শশী পাঁজারা। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা বলেন, ‘মানুষের সুবিধার দিকে নজর রেখে এসআইআর প্রক্রিয়ার কাজ করতে হবে। কিন্তু, বাংলার ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। যে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আছে, সেখানে যেভাবে কাজ হচ্ছে, বাংলায় সেভাবে কাজ হচ্ছে না।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, বাংলায় ইআরও’দের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। যা অবৈধ। নির্বাচন কমিশন বিজেপির কথা শুনে কাজ করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। অরূপ বিশ্বাসও বলেন, ‘বিজেপি যা বলছে, কমিশন তাই কাজ করছে। নির্বাচন কমিশন বিজেপির বি-টিম হিসাবে কাজ করছে। নির্বাচনী কার্যালয় এখন বিজেপির অফিস। বারবার কেন্দ্রীয় সরকার ভোটার ঠিক করে দিচ্ছে।’ খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়া ৫৮ লক্ষের নাম পাবলিক ডোমেনে আনা হচ্ছে না কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। শুনানিতে বয়স্ক মানুষদের ডেকে হয়রানির অভিযোগও তুলেছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। -নিজস্ব চিত্র