• বদলে গিয়েছে পরিচয়! নথি হাতে হাজির সন্ন্যাসীরাও
    বর্তমান | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শনিবার এসআইআর শুনানিতে বালিগঞ্জের জগবন্ধু ইনস্টিটিউশনে ২২ জন সাধু নিজেদের নথিপত্র নিয়ে উপস্থিত। শুনানি শেষে ভারত সেবাশ্রমের সাধু স্বামী পরব্রহ্মানন্দ বললেন, ‘আমার নাম খসড়া তালিকায় ছিল। সন্ন্যাস গ্রহণের পর তো আমাদের নাম বদলে যায়। আগের পরিচিতিকে স্মরণ করাও পাপ। পুরোনো নথিপত্র সব ফেলে এসেছি। বাড়ি থেকে বেরনোর পর আমরা বিভিন্ন জায়গায় তপস্যা করেছি। এখন গুরুর ঠিকানাই আমাদের ঠিকানা। আমাদের তো ডাকবেই। পাসপোর্ট নিয়ে এসেছি।’ স্বামী চৈতন্যানন্দর নাম ২০০২ সালেও ছিল। তিনি বললেন, ‘ভোটার-আধার কার্ড সবই রয়েছে। ডেকেছে যখন আসতে তো হবেই। আমি পাসপোর্ট নিয়ে এসেছি। দেশের নিয়ম কানুন তো মানতেই হবে।’ সন্ন্যাসীদের কেউ শুনানি পর্বে যোগ দেওয়ার জন্য এসেছেন অসম থেকে। তাঁরা ফিরেও যাবেন। তবে জানালেন, কেউই বিচলিত নন।

    জগবন্ধু ছাড়াও মর্ডান হাইস্কুলে শুনানির জন্য লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে এদিন। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ‘কমিশনের ভুলের জন্যই আমাদের এখানে আসতে হয়েছে। আমরা এখানকার আদি বাসিন্দা।’ এসআইআরের শুনানি পর্ব চলছে। কলকাতা শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে এদিন শুনানি হয়েছে। ৭৫ বছরের বৃদ্ধ শ্যামল ঘোষ ১৯৬৭ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের শংসাপত্র নিয়ে এসেছিলেন জগবন্ধুতে। শুনানি শেষে বেরিয়ে বললেন, ‘হয়রানি তো হলই। আমরা এখানে ১৯৫৮ সাল থেকে আছি। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী ছিলাম। এসআইআর করে যদি দেশের ভালো হয় তবে করুক।’ মডার্নে শুনানিতে আসা শেখ সাহাবুদ্দিন, ইরফান রেজা, রশিদ হোসেনরা বিরক্ত। ইরফান বললেন, ‘আমি অটো চালাই। একবেলা চালাতে পারলাম না। আমার নাম তো ২০০২ সালে আছে। বাপ-ঠাকুরদার জন্মও তো এখানে। কমিশনের কোনও ভুলের জন্য আমাকে এনেছে ডেকে।’ প্রায় ঘণ্টাদুয়েক দাঁড়িয়ে থাকার পর বিরক্ত হয়ে তাঁরা নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)