• গীতা হাতে আদালতে, মেসি কাণ্ডে শতদ্রুর জামিনের আবেদন খারিজ
    এই সময় | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • হাতে গীতা। পরনে কালো সোয়েটার, মাথায় টুপি। রবিবার এভাবেই বিধাননগর আদালতে ঢুকলেন যুবভারতীতে লিওনেল মেসির সফরের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত। তবে স্বস্তি মিলল না। শতদ্রুর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। ৯ জানুযারি পর্যন্ত তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    লিওনেল মেসির কলকাতা সফরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার অভিযোগে উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। মেসিকে দেখতে সেই দিন ৩৪,৫৬৭ জন টিকিট কেটেছিলেন বলে এ দিন আদালতকে জানিয়েছেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর বিভাস চট্টোপাধ্যায়। মোট ১৯ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। এ দিন শুনানির শুরু থেকেই শতদ্রুকে প্রভাবশালী বলে জামিনের বিরোধিতা করেন তিনি।

    আদালতে জামিনের আবেদন করে শতদ্রুর আইনজীবী দ্যুতিময় ভট্টাচার্য জানান, বিধাননগর কমিশনারেেটর কাছ থেকে শুরু করে যেখানে যা অনুমতি নেওয়ার দরকার, সবই নেওয়া হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব ছিল পুলিশের। শতদ্রুর কোম্পানি লজিস্টিক আর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সামলেছিল। তাই শতদ্রুকে জামিন দেওয়া হোক।

    শতদ্রুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দর থেকে। এ দিন সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিয়ে পাবলিক প্রসিকিউট বলেন, ‘অভিযুক্ত যে কোনও সময়ে পালিয়ে যেতে পারেন। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয় বিমানবন্দর থেকে।’ শতদ্রুকে প্রভাবশালী বলেও দাবি করেন তিনি। সাফ জানিয়ে দেন, তদন্ত প্রভাবিত করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর।

    কলকাতার পাশাপাশি দিল্লি, মুম্বই এবং হায়দ্রাবাদেও গিয়েছিলেন মেসির। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানগুলিতে কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি বলে শতদ্রুর আইনজীবী দাবি করেন, এ থেকেই বোঝা যায় অভিযুক্তের কোনও দোষ নেই। তবে পাবলিক প্রসিকিউটরের পাল্টা দাবি, সেখানে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য আলাদা সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন শতদ্রু। যুবভারতীতে সেই দায়িত্ব ছিল শতদ্রুর নিজের কোম্পানির উপরে। শেষ পর্যন্ত শতদ্রুর জামিন বাতিল করে দেন বিচারপতি।

  • Link to this news (এই সময়)