আজকাল ওয়েবডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ব্যক্তিগত এক দেহরক্ষীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল হুমায়ুনের পুত্র তথা বেলডাঙ্গা ২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ গোলাম নবী আজাদ ওরফে রবিনের বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যেই হুমায়ুন পুত্রের বিরুদ্ধে শক্তিপুর থানায় মারধরের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীত ওই পুলিশ কনস্টেবল।
মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার (হেডকোয়ার্টার) মজিদ ইকবাল খান বলেন, "রবিবার সকালে হুমায়ুন কবীরের একজন ব্যক্তিগত দেহরক্ষী জুম্মা খান শক্তিপুর থানায় হুমায়ুন কবীরের পুত্র রবিনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। জুম্মা খান, হুমায়ুন কবীরের কাছে ছুটিতে যাওয়ার জন্য আবেদন করলে তাঁর পুত্র পিএসও-কে মারধর করেছেন বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি।"
তিনি আরও জানিয়েছেন, "গোটা ঘটনাটি প্রচুর লোকের সামনে হুমায়ুন কবীরের বাড়ির নিচের তলায় ঘটেছে।"
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই শক্তিপুর থানার পুলিশ হুমায়ুন কবীরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পুত্র রবিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তবে পুলিশ যখন হুমায়ুন কবীরের শক্তিপুরের বাড়িতে যায় সেই সময় 'জনতা উন্নয়ন পার্টি'র চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড থাকা বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তাঁর বহরমপুরের বাড়িতে ছিলেন।
হুমায়ুন ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে তাঁর তিনজন সরকারি নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। তাঁদের প্রত্যেককে হুমায়ুন মাসে গড়ে ৮ দিন করে ছুটি দেন। সূত্রের খবর রবিবার সকালে জুম্মা খান নামে হুমায়ুনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কনস্টেবল তাঁর কাছে ছুটি চাইতে যান। হুমায়ুনের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি জানান, জুম্মা খান, হুমায়ুনকে গিয়ে বলেন তাঁর অপর এক দেহরক্ষী কামালদা ছুটি শেষে আজ কাজে যোগদান করেছেন। তাই তিনি বাড়ি যেতে চান। কিন্তু বিভিন্ন কারণে জুম্মা খানকে হুমায়ুন ছুটি দিতে রাজি হননি।
অভিযোগ সেই সময় জুম্মা খানের সঙ্গে হুমায়ুন কবীরের উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত হুমায়ুনের পুত্র গোলাম নবী আজাদ রবিন এই সময় হঠাৎ করেই ওই কনস্টেবলকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের হাতে আটক হওয়ার আগে আজকাল ডট ইনের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে গিয়ে হুমায়ুন পুত্র বলেন, "ওই কনস্টেবল খুব ঔদ্ধত্য ভঙ্গিতে আমার বাবাকে মারতে গিয়েছিলেন। ঘটনার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। বাবা এবং ওই কনস্টেবলের মধ্যে উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি হচ্ছিল দেখে আমি ওই কনস্টবলকে সেখান থেকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিই। আমি কাউকে মারধর করিনি। আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।"
হুমায়ুন কবীর বলেন, "সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের আচরণ করা হচ্ছে। আমি মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপারকে বলবো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণ করবেন না। আমার পরিবারের কারও বিরুদ্ধে কোনও রকম কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পুলিশ সুপার অফিস ঘেরাও করে বহরমপুর শহর স্তব্ধ করে দেব। আমার ধৈর্যের পরীক্ষা যেন না নেওয়া হয়।"