• নিরাপদ নন বাংলার CEO মনোজও? তাঁকে Y+ ক্য়াটাগরির নিরাপত্তা দিল শাহর মন্ত্রক
    আজ তক | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়ালকে Y+ নিরাপত্তা প্রদান করেছে। একটি গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন তাঁর নিরাপত্তার জন্য CISF কর্মী মোতায়েন করা হবে। খবর অনুসারে, গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টের  ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA) এই নিরাপত্তা অনুমোদন করেছে। এর অধীনে, কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর (CISF) কর্মীরা এখন তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

    নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে...
    সূত্রের খবর, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুনানি শুরু হয়েছে। এদিকে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রধান নির্বাচনী আধিকারিকে Y+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    নিরাপত্তার জন্য CISF জওয়ান  মোতায়েন 
    Y+ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সাধারণত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সুরক্ষার জন্য সার্বক্ষণিকভাবে বেশ কয়েকজন সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত থাকেন। এর মধ্যে বাসভবন, অফিস এবং চলাচলের সময় নিরাপত্তা কভার অন্তর্ভুক্ত থাকে।

    উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ অতীতে বেশ কয়েকবার নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সাক্ষী হয়েছে। ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনার মতো সংবেদনশীল প্রক্রিয়ার সময় প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাই, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, এসআইআর প্রক্রিয়া ঘোষণার পর থেকেই অতিরিক্ত কাজের চাপ-সহ একাধিক দাবিতে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে নামেন বুথ লেভেল অফিসাররা। কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের বাইরে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের দিন পরিস্থিতি চরমে ওঠে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দফতরের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা হলে সিইও দফতরের বাইরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। ওই ঘটনার পরেই দফতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রশাসনিক মহলে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে সিইও দফতরে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা চালু করা হয়েছে। প্রতিদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর চার থেকে পাঁচ জনের একাধিক দল দায়িত্বে থাকবে। সব মিলিয়ে একটি পূর্ণ সেকশন বাহিনী মোতায়েন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। 
  • Link to this news (আজ তক)