• আমি আর চাপ নিতে পারছি না, বিদায়, সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী বিএলও
    বর্তমান | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা,খাতড়া: এসআইএর-এর কাজে বেরিয়ে আত্মঘাতী হলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। মৃতের নাম হারাধন মন্ডল(৫৩)। বাড়ি বাঁকুড়ার রাজাকাটা গ্রামে। আজ, রবিবার সকালে কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। এরপর রানিবাঁধের মাঝপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিএলও তথা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এসআইএর-এর কাজের চাপেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পরিবারের অভিযোগ। এছাড়া ওই বিএলও আত্মহত্যার আগে কাজের চাপ সহ্য করতে না পারা-সহ একাধিক কথা উল্লেখ করেছেন একটি চিঠিতে। অকুস্থল থেকে সেটি উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার রাজাকাটা মাঝপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন হারাধন মন্ডল। বাঁকুড়ার রানীবাঁধ বিধানসভার ২০৬ নম্বর বুথে বিএলও-র দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। এই বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা বর্তমানে ৯৫৩ জন। মারা যাওয়া, স্থান পরিবর্তন-সহ নাম বাদ গিয়েছে ১৪ জনের। এছাড়া ১০৩ জনকে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে। সেই ভোটারদের নথিপত্র জোগাড়ের নাম করেই এদিন সকাল ১০টা নাগাদ নিজের বাড়ি থেকে বের হন হারধনবাবু। দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় খোঁজখবর শুরু করেন পরিজনেরা। শেষে স্কুলে গিয়ে দেখা যায় একটি ক্লাসরুমের সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ ঝুলছে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অকুস্থল থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। তাতে লেখা রয়েছে, আমি আর চাপ নিতে পারছি না, বিদায়। পাশাপাশি ওই নোটে লেখা রয়েছে বিএলও র কাজের জন্য আমিই দায়ী। এর সঙ্গে অন্য কারও যোগ নেই। শেষে লেখা রয়েছে, সব ঠিক করেও আমি ভুল করলাম। ক্ষমা কর আমাকে।  পরিবারের দাবি, হারাধনবাবু এসআইআর-এর কাজের চাপ নিতে না পেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তার জেরেই এই ঘটনা। ইতিমধ্যেই রানীবাঁধ থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)