• ‘সন্দেহভাজন ১ কোটি ৩৬ লক্ষের তালিকা চাই’, হুঁশিয়ারি অভিষেকের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি নির্বাচন কমিশনের আইটি ডিজি সীমা খান্নার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। তিনি জানান, সীমা খান্নার গোপন চ্যাটের স্ক্রিনশট তাঁদের কাছে রয়েছে, যেখানে সফটওয়্যারের ত্রুটি ও ভুলের কথা স্বীকার করা হয়েছে। সেই চ্যাটের নথি প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূলের এই শীর্ষ নেতা। তাঁর প্রশ্ন, যখন সফটওয়্যারে ভুল থাকার কথা স্বীকার করা হয়েছে, তখন কেন ১ কোটি ৩৬ লক্ষ সন্দেহভাজন ভোটারের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না।

    অভিষেকের অভিযোগ, ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই একই দিনে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, বাংলায় ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ভোটারের তথাকথিত ‘লজিক্যাল ডিসক্রিপ্যান্সি’ রয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, “একদিনে কোন প্রক্রিয়ায়, কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ৭ কোটি ভোটারের তথ্য যাচাই করে এই বিপুল সংখ্যক মানুষের নামে অসঙ্গতি ধরা পড়ল?” তিনি বলেন, কারও নামের বানানে ভুল, কারও বাবার বয়সের সঙ্গে সন্তানের বয়সের পার্থক্যে গরমিল—এই ধরনের সাধারণ অসঙ্গতির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভোটারদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে না কেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অভিষেকের কথায়, “ক্লাসের রেজাল্ট বেরিয়ে বললেন চল্লিশ জন ফেল করেছে, কিন্তু কারা ফেল করেছে তা জানাবেন না—এটা কি হয়?”

    একই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বহু ক্ষেত্রেই জীবিত ভোটারদের মৃত দেখানো হয়েছে। ডানকুনির এক কাউন্সিলরের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, এই ধরনের ভুল সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারের উপর সরাসরি আঘাত। সাধারণ মানুষের নাম নিয়ে এমন ‘অঙ্গুলিহেলন’ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলেও স্পষ্ট করে দেন তিনি। কমিশনের উদ্দেশে তাঁর চ্যালেঞ্জ, সাহস থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করুক।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)