জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হুমায়ুন কবীরের বাড়িতে পুলিস। সরকারি নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরের অভিযোগে আটক ছেলে। বৃহস্পতিবার পালটা পুলিস সুপারের অফিস ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সাসপেন্ডেড বিধায়ক। বললেন, 'বহরমপুর শহরকে স্তম্ভ করে দেব'। শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।
জানা গিয়েছে, হুমায়ুন কবীর তখন বহরমপুরে। আজ, রবিবার সকালে ভরতপুরের বিধায়কে বাড়িতে যায় শক্তিপুর থানার পুলিস। হুমায়ুন-পুত্র গুলাম নবী আজাদকে খোঁজখবর করতে শুরু করে। তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। অভিযোগ, হুমায়ুনের সরকারি দেহরক্ষীকে মারধর করেছেন তাঁর ছেলে। এমনকী, বিধায়ক নিজেও নাকি দেহরক্ষীকে গালিগালাজ করেছেন!
এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুদ্ধ হুমায়ুন। তাঁর সাফ কথা, আমি মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপারকে বলছি, 'মুর্শিদাবাদকে অশান্ত করার চেষ্টা করবেন না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ কোনও আচরণ যেন পুলিস না করে। আমি ঘণ্টা দুয়েক পরে ঘোষণা করর, আগামী বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিস সুপারকে বেলা বারোটা থেকে ঘেরাও করে, জবাব নেব। বহরমপুর শহরকে স্তম্ভ করে দেব। পারলে পুলিস আমাকে রুখে নেবে'।
একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে মুর্শিদাবাদ ভরতপুর কেন্দ্র থেকে জেতেন হুমায়ুন কবীর। একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। সাম্প্রতি বাবরি বিতর্ক হুমায়নুকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। ছাব্বিশের আগে বাংলায় নতুন রাজনৈতিক দল গড়েছেন তিনি। নাম, জনতা উন্নয়ন পার্টি। স্রেফ ইস্তেহার প্রকাশ নয়, ১০ কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে।
বিজেপি নেতা দেবজিত্ সরকার বলেন, 'এইসব অলীক কুনাট্য রঙ্গ নিয়ে বাংলার মানুষ ভাবছে না। বাংলার মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, এই তৃণমূলের বি টিম, সি টিম যারা যেখানে আছে। যারা নাবাভাবে পিছনের দরজা দিয়ে তৃণমূলকে জিতিয়ে আনতে চাইবে। তাঁদের পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হারাবে। বাঙালি জিতবে, তৃণমূল হারবে। নাটক করে বেশিদিন টিকে থাকা যাবে না'। তাঁর কথায়, 'যদি কোনও অন্যায় হয়ে থাকে, আইনের আওতায় সবাই আসবে। আইনের শাসন চাই। এটা আবার কী নাটক আরম্ভ হল! নিজে দেহরক্ষীকে নিজেই মারছে'!
তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের প্রতিক্রিয়া, 'কিছু কারণ আছে। পুলিস যখন করেছে, পুলিসি ব্যবস্থা আদালতে যাবে। আদালত দেখবে ব্যাপারটা। পুলিস কেন করেছে, পুলিস নিশ্চয়ই জানাবে। আদালতে মামলা হবে, তখন নিশ্চয়ই হুমায়ু কবীরের ছেলে হয়ে আইনজীবী দাঁড়াবেন। তিনি বলবেন'। বলেন, 'এখানে সভ্য সমাজ, আইন শাসিত সমাজ। হুমায়ুন কবীর যা ইচ্ছে, তাই করবেন। সেটাই বলবেন। তা তো নয়'।