• ‘বাংলাকে বাংলাদেশ করা সহজ নয়’, আসানসোলে পালটা মেরুকরণের বার্তা মিঠুনের
    প্রতিদিন | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • শেখর চন্দ্র, আসানসোল: বাংলাদেশে হিন্দু হত্যার ঘটনাকে সামনে এনে বাংলায় মেরুকরণের রাজনীতিকে তীব্র করতে চাইছে বিজেপি। এই অভিযোগ এবার ধীরে ধীরে সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে। শনিবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটিতে গেরুয়া শিবিরের তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বক্তব্য থেকে ফের তা স্পষ্ট বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন বিজেপির পরিবর্তন সংকল্প সভায় মিঠুন বলেন, “অত সহজ নয় বাংলাকে বাংলাদেশ করে দেওয়া। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা বাংলাকে বাঁচাব।”

    বিজেপির কেন্দ্রীয় কর্মসমিতির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে এদিনের সভায় ছিলেন বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য, কুলটি ও আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার দুই বিধায়ক ডাক্তার অজয় পোদ্দার ও অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। আধঘন্টারও বেশি সময় ধরে মিঠুন চক্রবর্তীর বক্তব্য আগাগোড়া ছিল আক্রমণাত্মক। তিনি বলেন, “বর্তমান যা পরিস্থিতি, তা দেখে মনে হচ্ছে এটা যেন পশ্চিম বাংলা নয়। যেন পশ্চিম বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, হিন্দুদের উপর আঘাত এলে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা বাংলাকে বাঁচাব। কাশ্মীরে হিন্দু ব্রাহ্মণদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন যদি এসব এই রাজ্যে হয়, আমরা তাহলে কোথায় যাব?” নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে নিজের সিনেমার সংলাপ উদ্ধত করে বলেন, “আমি জাত গোখরো। শুধু দুধ-কলা খাই। নাম তুফান। বছরে এক, আধবার আসি। যখন আসি তখন প্রলয় ঘটে।”

    এদিনের সভা থেকে মিঠুন সাফ বলেন, ”বিজেপি মুসলমানের বিরুদ্ধে নয়। মুসলমানদের মধ্যে যারা ভারতে থেকে এদেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে তাঁদের বিরুদ্ধে।” মিঠুন বলেন, ”এদিন আমরা কুলটিতে ভাইবোনের সঙ্গে দেখা করতে এলাম। এই কুলটি বিজেপির। যারা কমিউনিস্ট পার্টি করেন, হিন্দুত্বকে মানেন। কংগ্রেস, এমনকি তৃণমূল হিন্দুদের বলছি বিজেপিকে ভোট দিন। আবার সবাইকে বলছি এক ছাতার তলায় আসুন। মনে রাখবেন, বিজেপি একমাত্র দল, যারা ক্ষমতায় এসে আপনাদের রক্ষা করতে পারবে।”

    মহিলাদের উদ্দেশে মিঠুন বলেন, ”কেউ লক্ষীর ভাণ্ডার ছাড়বেন না। ওটা আপনাদের। আপনাদের টাকা আপনাদের দেওয়া হচ্ছে। তবে এই লক্ষীর ভাণ্ডার দেওয়া এক হাজার টাকা নিয়ে অনেকে আমাকে অনেক কথা বলেন। আমি অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছি। আমরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কষ্টে আছি। কিন্তু কোনওভাবেই দুর্নীতি বরদাস্ত করবেন না।” সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, হিন্দুদের উপরে যে অত্যাচার হচ্ছে, তা উচিত নয়। যা, হচ্ছে, তা একেবারেই ঠিক হচ্ছে না। এমন একদিন হয়তো আসবে, তখন সবাই জেগে উঠবে। তখন কিছু করার থাকবে না।
  • Link to this news (প্রতিদিন)