SIR শুনানিতে বৃদ্ধ-অন্তঃসত্ত্বাদের হেনস্তা! সোমে কমিশনের দপ্তরে TMC প্রতিনিধি দল
প্রতিদিন | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: এসআইআরের শুনানি পর্ব চলছে। দীর্ঘদিনের ভোটার হওয়া সত্ত্বেও বহু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা নোটিস পেয়েছেন। বাধ্য হয়েই শুনানি কেন্দ্রে পৌঁছেছেন অনেকেই, পাছে নাম কাটা যায়! এসআইআরের নামে আমজনতাকে এভাবে হেনস্তার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন প্রতিবাদে আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার সকালে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যাবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।
পূর্বঘোষণা মতোই রবিবার বিএলএ-২ দের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই এসআইআরের একাধিক গলদ নিয়ে আলোচনা হয়। ওঠে শুনানির নামে বৃদ্ধদের হেনস্তার প্রসঙ্গ। কারণ, শনিবার শুনানি শুরু হতেই দেখা যায় প্রবল ঠান্ডায় কলকাতার চেতলা গার্লস স্কুলের শুনানি কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায় এক ৯০ বছরের বৃদ্ধকেও। অথচ ৮৫ পার হওয়া প্রবীণ ভোটারদের শুনানিতে ডাকা হবে না বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। জানা যায়, এক মহিলাকে প্রসবের দিনেই হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে হিয়ারিংকে কেন্দ্র করে প্রবল হেনস্তার শিকার আমজনতা।
বৃদ্ধদের হেনস্তার প্রতিবাদে এদিন ফুঁসে উঠলেন অভিষেক। বললেন, “বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের এভাবে হেনস্তা বরদাস্ত করব না। তৃণমূলের তরফে আগামিকাল প্রতিনিধিদল যাবে কমিশনে।” এরপরই অভিষেকের প্রশ্ন, “দেশের মধ্যে একমাত্র তৃণমূলই এর প্রতিবাদ করেছে। যদি প্রবীণদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা থাকে তাহলে কেন হিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে তা হবে না?” এদিন বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। বলেন, “বিজেপির কাছে এজেন্সি আছে, তৃণমলের কর্মী আছে। ওরা আজ পর্যন্ত রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেনি। তৃণমূলের সরকার উন্নয়নের পাঁচালি প্রকাশ করেছে। আমরা দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করি, ওরা দোষীদের সাদরে গ্রহণ করে।” হুঙ্কার ছেড়ে অভিষেক বললেন, “বিজেপি বাংলার ডিএনএ বোঝে না। ওরা ভাগাভাগি করে দাঙ্গা করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলার ডিএনএ বদল করতে পারবে না ওরা।” প্রসঙ্গত, শনিবার সিইও দপ্তরে গিয়ে বৃদ্ধদের হেনস্তার প্রতিবাদে চিঠি দেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। বলা হয়, নির্বাচন কমিশন বিজেপির শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে।