• কাজের চাপে অবসাদ? রানিবাঁধে স্কুলের মধ্যেই আত্মঘাতী বিএলও
    বর্তমান | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া ও সংবাদদাতা, খাতড়া: ‘আমি আর চাপ নিতে পারছি না, বিদায়’। এমনই সুইসাইড নোট লিখে রবিবার আত্মঘাতী হলেন এক বিএলও। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম হারাধন মণ্ডল (৫২)। স্কুলের একটি ঘরে হারাধনবাবু গলায় দড়ি নেন। তাঁর বাড়ি রানিবাঁধ থানার রাজাকাটা এলাকায়। তিনি রানিবাঁধ উত্তর চক্রের মাঝপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। জঙ্গলমহলের এই চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার খবর পেয়ে মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি মৃতের বাড়িতে যান। সন্ধ্যায় তৃণমূলের বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি এই ইস্যুতে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করে।

    হারাধনবাবু রানিবাঁধের ২০৬ নম্বর বুথের বিএলও ছিলেন। তাঁর বুথের ১০৩ জন শুনানিতে ডাক পেয়েছেন। এ নিয়ে তিনি চিন্তিত ছিলেন। অনুমান পুলিশের। সুইসাইড নোটটি তাঁরই লেখা বলে হারাধনবাবুর পরিবার শনাক্ত করেছে। খাতড়া মহকুমা পুলিশের এক অফিসার বলেন, মৃতের পরিবারই দেহটি নামিয়েছে। পুলিশ গিয়ে দেহ শায়িত অবস্থা দেখতে পায়। পরিবারের তরফে এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজুসহ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 

    মৃতের ভাই সুশান্ত মণ্ডল বলেন, দাদা সকালে স্নান-খাওয়া সেরে শুনানির নোটিশ বিলি করতে বেরিয়েছিলেন। এসআইআরের চাপে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। দীর্ঘক্ষণেও তিনি বাড়ি না ফেরায় বউদি এবং অন্যরা খুঁজতে বেরোন। তখন স্কুলের ঘরেই দাদাকে ফ্যান থেকে ঝুলতে দেখা যায়! আমরা গিয়ে দাদাকে নামিয়েছিলাম। ততক্ষণে দেহ ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল।

    মৃতের স্ত্রী মালা মণ্ডল বলেন, ‘প্রতিদিনই ব্লক অফিস থেকে ফোন করে কাজ চাপিয়ে দেওয়া হত। তাতে তিনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।’ বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘বিএলওদের উপর অমানুষিক কাজের চাপ মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না।’ বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিএলও’র মৃত্যু নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করছে তৃণমূল।’            
  • Link to this news (বর্তমান)