• কম টাকায় সোনা বিক্রির টোপ দিয়ে তিন লক্ষের প্রতারণা, গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত
    বর্তমান | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কম পয়সার সোনা পাওয়ার টোপ গিলে তিন লক্ষ টাকা খোয়ালেন মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে ভবানীপুর থানা এলাকার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের কাছে। অভিযুক্তরা গাড়িতে করে এসে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ওয়াসির খান ও মহম্মদ নাসির নামে দুই ব্যক্তিকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে ভবানীপুর থানা।

    পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভবানীপুরের গিরিশ মুখার্জি রোডের বাসিন্দা একটি পরিবার বাড়ি বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। বিভিন্ন দালাল এসে বাড়িটি দেখে যান। বাড়িতে আসা এক দালাল জানান, একজন বাড়িটি কিনতে ইচ্ছুক। ওই ব্যক্তি আবার কম পয়সায় সোনাও বিক্রি করে থাকেন। একথা শুনে পরিবারের সকলে সিদ্ধান্ত নেন যে, বাড়ি বিক্রি করে যে টাকা আসবে, তার একটা অংশ নিয়ে সোনা কিনবেন। বাকিটা গচ্ছিত রাখবেন। এরপর দালাল মারফত অভিযুক্তরা যোগাযোগ করে ভবানীপুরের ওই বাড়ির মালিকের সঙ্গে। কথা প্রসঙ্গে তাঁরা জানান যে, তাঁদের কাছে এখন ভালো সোনা এসেছে। এর দামও খুব কম। ঠিক হয় নিউটাউনে সকলে দেখা করবেন। সেইমতো নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে  তিন যুবক ও বাড়ির মালিক দেখা করেন নিউটাউনের একটি হোটেলে। সেখানে সোনা নিয়ে আসেন অভিযুক্তরা। তা দেখে পছন্দ হয় অভিযোগকারী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। দরদাম করে ঠিক হয়, তিন লক্ষ টাকায় এই সোনা বিক্রি করা হবে। টাকা নিয়ে ২৪ নভেম্বর তাঁদের আসতে বলা হয় শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের সামনে।

    সেই মতো অভিযোগকারীর বউদি তিন লক্ষ টাকা নগদ নিয়ে ওই এলাকায় পৌঁছন। কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়িতে করে তিন যুবক হাজির হন। মহিলা তিন লক্ষ টাকা নগদ তাঁদের হাতে দেন। এরপর গাড়ির মধ্যে টাকা গোনার ভান করে ব্যাগ পাল্টে ফেলেন অভিযুক্তরা। কয়েক মিনিট পরে ব্যাগ ফিরিয়ে দিয়ে বলেন, টাকা ঠিক রয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে সোনা নিয়ে আসছেন তাঁরা। এই বলে গাড়ি নিয়ে চলে যান। এরপরই মহিলা ব্যাগ খুলে দেখেন, তাতে টাকার জায়গায় কাগজ রয়েছে। বাড়িতে ফিরে বিষয়টি জানালে অভিযোগ করা হয় ভবানীপুর থানায়।

    তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে অভিযুক্তরা যে মোবাইল নম্বর থেকে যোগাযোগ করেছিলেন, সেটিতে বন্ধ রাখা আছে। এরপর অভিযুক্তদের নতুন নম্বর হাতে আসে অফিসারদের। তার সূত্র ধরে জানা যায়, মধ্য কলকাতার একটি হোটেলের সামনে রয়েছেন অভিযুক্তরা। সেখান থেকেই শনিবার রাতে দু’জনকে ধরা হয়। অভিযোগকারীর আইনজীবী সম্রাট বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশি হেপাজতের আবেদন করেন। সওয়াল শেষে দু’জনকে পুলিশি হেপাজতে পাঠায় আদালত।
  • Link to this news (বর্তমান)