কেন্দ্রের ব্যর্থতায় পুষ্টিকর চাল তৈরি শুরু হয়নি, ক্ষতি বাংলার চাষিদের
বর্তমান | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ফর্টিফায়েড রাইস কারনেলের (এফআরকে) টেন্ডার সহ কিছু কাজে কেন্দ্র দেরি করায় ২০২৫-২৬ খরিফ মরশুমে পুষ্টিকর চালের উৎপাদন এখনও শুরু করা যায়নি। তাই রাইস মিলগুলিতে প্রায় ২৩ লক্ষ টন ধান জমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ‘স্টেট পুলের’ জন্য আপাতত সাধারণ চাল সরবরাহ করার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য। তাতে রাইস মিলে জমে থাকা ধানের কিছুটা ব্যবহার হবে। সেই জায়গায় চাষির থেকে কেনা আরও ধান রাখা যাবে, নয়তো চাষির থেকে ধানক্রয় প্রক্রিয়া থমকে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে সেন্ট্রাল পুলের চাহিদা মেটাতে ১ লক্ষ টন চাল এফসিআই থেকে নিতে হয়েছে। খাদ্যদপ্তর বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যর্থতার জন্য বাংলার কৃষকদের ক্ষতিই হল। কারণ ওই চালের জন্য প্রয়োজনীয় ধান বাংলার চাষির থেকেই কিনত রাজ্য। এফসিআই বাংলার চাষির থেকে ধান কেনে না। ভিন রাজ্যের চাল এনে সরবরাহ করে।
রাজ্য খাদ্যদপ্তর ইতিমধ্যে সেন্ট্রাল পুলের জন্য অন্তত ৯ লক্ষ টন চাল চেয়েছে কেন্দ্রের কাছে। তাতে সাড়া মেলেনি। তাই সেন্ট্রাল পুলের জন্য ১ লক্ষ টন চাল এফসিআই থেকে নিতে হয়েছে। সেন্ট্রাল পুল থেকে জাতীয় প্রকল্পের অন্তর্গত রেশন গ্রাহকদের এবং অঙ্গনওয়াড়ি ও মিড ডে মিলের চাল দেওয়া হয়। স্টেট পুলে জমা চাল দেওয়া হয় রাজ্যের নিজস্ব খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের রেশন গ্রাহকদের। রাজ্যের চাষির থেকে কেনা ধান থেকে উৎপাদিত চাল সেন্ট্রাল ও স্টেট পুলের জন্য সরবরাহ করা হয়। রাজ্যের চাষির থেকে কেনা ধানে তৈরি চালের কতটা সেন্ট্রাল ও স্টেট পুলে যাবে তার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে রাখে রাজ্য।
বেঙ্গল রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি আব্দুল মালেক জানান, মিলগুলিতে ধান জমে থাকা সত্ত্বেও সেন্ট্রাল পুলের পুষ্টিকর চাল নিতে রাজ্য বাধ্য। তাই দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নিতে খাদ্যদপ্তরকে অনুরোধ করা হয়েছে।