• বড় খবর! বিধানসভা ভোটের তিন মাস বাকি! আর তার আগেই তৃণমূলকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত শওকত মোল্লার...
    ২৪ ঘন্টা | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • প্রসেনজিত্‍ সর্দার:  জানুয়ারির ১ তারিখে তৃণমূল দিবস (AITC Day)। আর ২ তারিখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এর সভাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতাদের কড়া হুশিয়ারি শওকত মোল্লার (Saokat Molla)। 

    জানুয়ারি ১তারিখে তৃণমূল দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রত্যেকটা বুথে ২০০ করে তৃণমূলের ফ্ল্যাগ লাগাতে হবে। প্রধান ও অঞ্চল সভাপতিদের কড়া নির্দেশ। ভাঙ্গড় ও ক্যানিং পূর্ব বিধানসভাতে এই পতাকা লাগানোর কাজ চলবে। 

    ২৭ বছর তৃণমূল দলের বয়স। ১৫ বছর সরকারের বয়স। ৩১ তারিখের মধ্যে দুটো বিধানসভা ভাঙ্গড় ও ক্যানিং পূর্বতে পতাকা, ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন লাগিয়ে কমপ্লিট করে দেওয়া যেন হয়। আর জানুয়ারির ১ তারিখে সকাল সকাল দলের পতাকা উত্তোলন করতে হবে। কর্মীদের নিয়ে মিষ্টিমুখ করতে হবে। তিন মাস পরে বিধানসভা নির্বাচন। তাই কোন বিষয়ে ছোট করে দেখা যাবে না।

    পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সারা বাংলায় যে সভা করবেন, প্রথম সভা শুরু করবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা বারুইপুর থানা এলাকায় সাগর সংঘ মাঠ থেকে। সেখানে দক্ষিণ 24 পরগনা ২ লক্ষ মানুষের জমায়েত করতে হবে। এই জমায়েতের ক্ষেত্রে নেতারা কোন দুর্বলতা দেখালে তাহলে তার পার্টিতে থাকার কোন অধিকার আছে বলে তিনি মনে করেন না। কড়া হুঁশিয়ারি শওকত মোল্লার।

     ক্যানিং পূর্ব ও ভাঙ্গড় থেকে বেলা ১২ টার মধ্যে গাড়ি ছাড়তে হবে। ৩৫০ টা গাড়ি যাবে ভাঙ্গড় ও ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা থেকে। গাড়িতে যাওয়ার আগে কর্মীদের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে বিরিয়ানি, লুচি, রুটি ব্যবস্থা করতে হবে। একটা অঞ্চল থেকে তো ৪০০-৫০০ লোক যাবে। তাদের তো খাওয়ার ব্যবস্থা করতেই হবে। 

    প্রত্যেকটা গাড়িতে আলাদা স্টিকার লাগাতে হবে। ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা ও ভাঙ্গড় বিধানসভা। শওকাত মোল্লার দুটি কর্মসূচিতে কড়া হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতাদের দিলেন ভাঙ্গরে ঘটকপুকুরে কার্যালয়েতে। 

    ভাঙড়ে রাজনৈতিক তাপমাত্রা এখন অনেকটাই গরম! 'শওকত মোল্লা একজন নটোরিয়াস ক্রিমিনাল!' কিছুদিন আগেই এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন নওশাদ সিদ্দিকী। হুংকার দিলেন, 'একসময় আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদরাও আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। আজ তাঁরা ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিয়েছেন। শওকত মোল্লাও সেরকমই ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নেবে।'

    বিধানসভা নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে ভাঙড়ে। ভাঙড়ের কাঠালিয়া এলাকায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। সেই কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। নওশাদ বলেন, 'ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা একজন নটোরিয়াস ক্রিমিনাল ও চুনোপুঁটি নেতা। ওর চ্যালেঞ্জকে আমি পাত্তা দিই না। আমার লড়াই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে।' 

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ভাঙড়ে একাধিক সভা থেকে নওশাদ সিদ্দিকীকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। তিনি দাবি করেন, 'ভোটের আগে ভাঙড়ে ১০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হবে। যদি নওশাদ এক কোটি টাকার উন্নয়নও করতে পারে, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।' এছাড়াও তিনি ঘোষণা করেন, '২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড়কে জিতিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে উপহার দেব।'

    বলাই বাহুল্য যে ভোটমুখী বাংলায় তৃণমূল ও আইএসএফের এই মন্তব্য- পাল্টা মন্তব্যে উত্তপ্ত হচ্ছে ভাঙড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। বছর ঘুরলেই বেজে যাবে ভোটের দামামা। তাই দুই পক্ষের এই তিক্ততা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)