আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৩ ডিগ্রি কম। রবিবার বিকেলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫৮-৯১ শতাংশ। আগামী চব্বিশ ঘণ্টা কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশেই থাকবে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টা পর কলকাতার তাপমাত্রা পরিবর্তনের সম্ভাবনা। তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। কারণ, জম্মু-কাশ্মীরে রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। উত্তর-পশ্চিম ভারতে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে ৩০ ডিসেম্বর। তার প্রভাবে উত্তর-পশ্চিমের শীতল হাওয়া বাধা পেতে পারে। তাই ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে পারদ।
এদিকে, পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। উপকূলের জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৩-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার বর্ষবরণের রাতে দার্জিলিংয়ের উঁচু পার্বত্য এলাকা যেমন সান্দাকফু, চটকপুরে হালকা তুষারপাতের সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিমেও তুষারপাত হতে পারে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে দার্জিলিংয়ে বৃষ্টিও হতে পারে। এছাড়া শীতে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পং। তাপমাত্রা ৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে আসতে পারে। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা।
বাংলার মতো অন্যান্য রাজ্যও শীতে কাঁপছে। শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে দিল্লি, পাঞ্জাব, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে। ঘন কুয়াশায় মুখ ঢাকতে পারে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তরাখণ্ড এবং ওড়িশা। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩৫-৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।