• ‘বিয়েতে পাওয়া গয়না ও উপহার ফেরত দাও’, শ্বশুরবাড়ির কাছে দাবি জানাতেই মর্মান্তিক পরিণতি বধূর
    এই সময় | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • গার্হস্থ্য হিংসার ভয়াবহ পরিণতি সামনে এল মহারাষ্ট্রের পালঘরে। দিনের পরে দিন মানসিক ও শারীরিক হেনস্থার পরে বধূকে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী ও ননদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতের নাম কল্পনা সোনি। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচারের পরে বাড়ি থেকে কল্পনাকে বের করে দেওয়া হলে তিনি পাল্টা বিয়েতে পাওয়া গয়না ও উপহারও ফেরত চান। এতেই তাঁকে মেরে ফেলেন তাঁর বর ও ননদ বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের।

    জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে কল্পনা সোনির সঙ্গে বিয়ে হয় মহারাষ্ট্রের বিরার বাসিন্দা মহেশ সোনির। কল্পনার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পরে থেকেই প্রত্যহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো কল্পনার উপর। দম্পতির একটি সাত বছরের মেয়েও রয়েছে। কিন্তু সন্তান হওয়ার পরেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। প্রতিদিনের এই অশান্তি চরম আকার ধারণ করে রবিবার। ব্যাপক মারধর ও অশান্তির পরে কল্পনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তাঁর স্বামী মহেশ ও তাঁর বাড়ির লোকজন।

    পুলিশ সূত্রে খবর, কল্পনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হতেই পাল্টা তিনি বলেন,‘চলে যাব, কিন্তু বিয়ের সময়ে পাওয়া গয়না ও বাপের বাড়ি থেকে আনা সমস্ত যৌতুক ফেরত দিতে হবে।’ অভিযোগ, বৌয়ের মুখে এই দাবি শুনে ক্ষেপে ওঠেন মহেশ ও তাঁর বোন দীপালি। তাঁরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কল্পনার মাথায় আঘাত করেন।

    পুলিশ আধিকারিক প্রকাশ কাওয়ালে জানান, এর পরেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রক্তাক্ত কল্পনা। তাঁর আর্তনাদ শুনে সেখানে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই কল্পনাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরেই পুলিশে অভিযোগ করেন কল্পনার পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মহেশ ও তাঁর বোন দীপালিকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তি জানিয়েছেন, কল্পনা বাথরুমে পড়ে গিয়ে আহত হন, আর সেই আঘাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মহেশ এবং দীপালির বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করছে পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)