• ১০৮ দেব-দেবীর মূর্তি, ১০০৮ স্তম্ভ, ২ লক্ষ বর্গফুট এলাকায় দিনে ১ লক্ষ দর্শনার্থী! নিউটাউনে দুর্গা অঙ্গনের মেগাপ্রকল্প মুখ্যমন্ত্রীর...
    ২৪ ঘন্টা | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'এবার কাজ শুরুর পালা'। নিউটাউনে দুর্গা অঙ্গনের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'এই দুর্গা অঙ্গন ৩৬৫ দিনই আপনারা দেখতে পাবেন। প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ আসবেন। দিনে এক লক্ষ দর্শনার্থী আসতে পারবেন। জগন্নাথ ধামে কালকে এক লক্ষ ছুঁয়েছে। যদি এক লক্ষ লোকও দিনে আসে, কোনও অসুবিধা হবে না'।

    বঙ্গ রাজনীতিতে 'দুগ্গা, দুগ্গা'। দীঘায় জগন্নাথ ধামের পর এবার নিউটাউনে দুর্গা অঙ্গন। ছাব্বিশের আগে মেঘা প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'আজকের এই দিনটি আমি মনে করি, আমাদের সকলের কাছে ঐতিহাসিক দিন। বাংলার মুকুটে আরও একটি পালক। দুর্গাপুজো তো ঘরে ঘরে হয়, পাড়ায় পাড়ায় হয়, ক্লাবে ক্লাবে হয়। আর একটা দুর্গা অঙ্গন করার প্রয়োজন কোথায়। প্রয়োজন এই কারণে যেটা আমাদের জাতীয় উত্‍সব হিসেবে, ইউনেস্কোর কাছ থেকে যে সম্মান পেয়েছি, সেই সম্মানটাকে সংরক্ষিত রাখার জন্য'।

    মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়ে দিয়েছে। এবার কাজ শুরু পালা। এটা বিশ্বের বৃহত্তম দুর্গা অঙ্গন হবে। এখানে প্রতি দিন এক লক্ষ ভক্ত আসতে পারবেন। আমরা তার ব্যবস্থা করছি'। জানান, 'এটা এত বড় করে করা হয়েছে যে মন্দিরে উঠোনেই এক লক্ষ লোক বসে থাকতে পারবেন। এখানে সবুজ দিয়ে ঘেরা খোলা চত্বর রাখা হয়েছে। এই চত্বরের চারপাশে ২০ ফুট চওড়া ঘোড়ার পথ করা হচ্ছে। ১,০০৮টি স্তম্ভ হচ্ছে। মূল গর্ভগৃহের উচ্চতা হবে ৫৪ মিটার। মূল মণ্ডপ ছাড়াও সিংহদূয়ার, ও অন্য মণ্ডপও থাকবে। প্রাকৃতিক আলো এবং বাতাসের উপর নির্ভর করা হবে। দুর্গা অঙ্গনের নকশা তৈরি হয়েছে। জগন্নাথধাম যাঁরা তৈরি করেছেন, তাঁরা এই দুর্গা অঙ্গন করবেন'।

    এদিকে দার্জিলিংয়ের মতো শিলিগুড়িতে মহাকাল তৈরি করতে চান মুখ্য়মন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে সেকথা জানিয়েছিলেন নিজেই। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, জানুয়ারি দ্বিতীয় সপ্তাহে  মহাকাল মন্দিরের শিলান্যাস হবে।  বলেন,  'আমি জমি দেখে রেখেছি। তারিখও মনে মনে ঠিক করে রেখেছি'।

    কেমন হবে এই দুর্গা অঙ্গন:

    ১৭ একরেরও বেশি জমির উপরে তৈরি হতে চলেছে এই দুর্গা অঙ্গন। নিউটাউনের এই দুর্গা অঙ্গনে দেবী দুর্গা এবং তাঁর সন্তানদের মন্দির থাকবে। প্রত্যেকটা মন্দিরে নিত্য পুজোর আয়োজন থাকবে। দুবছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে এই মন্দিরের। দীঘার জগন্নাথধামের মত দুর্গা অঙ্গনও স্থাপত্যের নিদর্শন হতে চলেছে। মূল মন্দিরের প্রবেশ পথে থাকবে সিংহ।

    দুর্গার যে বিভিন্ন নাম রয়েছে সেই নামগুলো এই মন্দিরের মধ্যে খোদাই করা থাকবে। লাল রঙের পাথরের আর মার্বেল দিয়ে তৈরি হবে এই মন্দির। হিডকোর তত্ত্বাবধানে দুর্গা অঙ্গন তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই একটি ট্রাস্ট তৈরি করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে ট্রাস্ট যাবতীয় বিষয় দেখাশোনা করবে।

    কোথায় তৈরি হচ্ছে এই দুর্গা অঙ্গন:

    ইকোপার্কের উল্টোদিকের জমির পরিবর্তে অ্যাকশন এরিয়া ওয়ানে নিউ টাউন বাস টার্মিনাসের উল্টোদিকের একটি জমিতে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)