• এসআইআর শুনানি নিয়ে বয়স্কদের 'অপমানে' সুকান্তকে তোপ তৃণমূলের
    প্রতিদিন | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: লম্বা লাইনে ইনহেলার হাতে দাঁড়িয়ে বয়স্করা। কেউ বা অন্তঃসত্ত্বা। কারও হাত কিংবা পা ভাঙা অবস্থায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে। রাজ্যজুড়ে এসআইআর (SIR in Bengal) শুনানি কেন্দ্রে সাধারণ মানুষের হেনস্তা যেন লেগেই রয়েছে। তার প্রতিবাদে সরব তৃণমূল। অথচ হেনস্তার অভিযোগ উড়িয়ে এই ইস্যু নিয়ে মুখ খুলে বিতর্ক বাড়ালেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেই ভিডিও পোস্ট করে সমালোচনায় সরব শাসক শিবির।

    সুকান্ত বলেন, “ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে কীভাবে আসবেন, তখন অসুবিধা হবে না? যাদের ভোট দেওয়ার ইচ্ছা নেই। যেমন ধরুন আমার বাবা অসুস্থ মানুষ তিনি ভোট দিতে যেতে পারেন না। তাই এসআইআর নিয়ে মাথা ঘামাননা। আপনি যদি ভোট দিতে যেতে পারেন তবে এসআইআর করাতে যেতে পারবেন না কেন, আমি এটা বুঝতে পারছি না।”

    তৃণমূলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। রাজ্যের শাসক শিবিরের বক্তব্য, “এটা নাকি একজন জনপ্রতিনিধির ভাষা! বয়সের ভারে ন্যুব্জ, অসুস্থ, বিশেষভাবে সক্ষম মানুষকে শুনানির নামে হেনস্তা করছে কমিশন। কেউ হুইলচেয়ারে বসে, কেউ অ্যাম্বুল্যান্সে শুয়ে শুনানিতে যাচ্ছেন। আর সেই দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের অবস্থা দেখেও কটূক্তি করছেন বিজেপির মাতব্বর নেতা তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।” তৃণমূলের প্রশ্ন, “এরা আদৌ মানুষ? বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষকে সম্মান তো দূর, অন্যের অক্ষমতাকেও কটূক্তি করছে।” সুকান্তকে ধিক্কার জানিয়েছে তৃণমূল।

    এর আগে এসআইআর শুনানিতে হেনস্তার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের এভাবে হেনস্তা বরদাস্ত করব না।” তৃণমূলের তরফে সোমবার পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল যাবে কমিশনে। ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন পার্থ ভৌমিক, শশী পাঁজা, বাপি হালদার, পুলক হালদার এবং বীরবাহা হাঁসদা।   
  • Link to this news (প্রতিদিন)