জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিরোধী দলনেতার কনভয়ের বেপরোয়া গতি! গাড়ির ধাক্কায় আহত শিশু ও মহিলা। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এবার FIR দায়ের করা হল পূর্ব মেদিনীপুরের খেঁজুরি। ঘটনার তদন্ত করে পুলিসকে আইনানুগ ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছেন অভিযোগকারী।
নিজেকে দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারী। FIR-র তিনি জানিয়েছে, 'গত ২৬ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ আমি সিগন্যালে হেঁড়িয়া সাবিত্রী শঙ্ক ভাণ্ডারের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। এমন সময়ে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় কাঁথির দিক থেকে তমলুকের দিকে বেরিয়ে যাচ্ছিল। সেই কনভয়ের সব থেকে শেষ একটি কালো গাড়ি যখন হেঁড়িয়া ক্রসিং পার হচ্ছিল, সেই সময় একজন মহিলা, তাঁর তিন-চার বছরের বাচ্চা ছেলেকে কোলে নিয়ে বোগার দিক থেকে হেঁটে মাধাখালীর দিকে যাচ্ছিল। ওই গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই মহিলাকে সজোরে ধাক্কা মারে। ওই মহিলা ও বাচ্চাটি ছিটকে রাস্তা উপরে পড়ে। মহিলার হাত ও বাচ্চার মাথায় আঘাত লাগে'।
অভিযোগকারীর দাবি, 'শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি রাস্তায় সবসময় বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। আমরা এলাকার মানুষ সবসময় ভীত সন্ত্রস্ত থাকি, কখন জানি, আমাদের বড় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তিনি প্রভাবশালী বলে এলাকার কেউ অভিযোগ জানাতে সাহস পায় না'।
এবারই কিন্তু প্রথম নয়। পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু কনভয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। বছর তিনেক মারিশদা থানায় এলাকায় দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থানার ওসি-কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে মে মাসে দিঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়কের চণ্ডীপুরে শুভেন্দুর কনভয়ে ধাক্কা এক ব্য়ক্তির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। সেবারও থানায় অভিযোগ দায়েক করেছিলেন মৃতের বাবা। গ্রেফতার করা হয় কনভয়ের একটি গাড়ির চালককে।
মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। কনভয়কাণ্ডে রাজ্য় পুলিসকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ ছিল, ই ঘটনায় তদন্ত যেমন করছে তেমনই চালিয়ে যেতে পারবে পুলিশ। তাছাড়া আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া যাবে না। কনভয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ কর্মীদের বিরুদ্ধেও কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না।