‘দেশের জন্য কলঙ্কের অধ্যায়’, ত্রিপুরার ছাত্রহত্যায় নিন্দায় সরব থারুর
প্রতিদিন | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়ে দেরাদুনে মৃত্যু হয়েছে ত্রিপুরায় পড়ুয়া অ্যাঞ্জেল চাকমার। গণপিটুনির পাশাপাশি তাঁকে ছুরি দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় এবার সরব হলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor)। ঘটনার কড়া নিন্দা করে তিনি বলেন, “এটি দেশের জন্য কলঙ্কের অধ্যায়।”
থারুর তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দেশের জন্য এটি কলঙ্কের অধ্যায়। আমাদের এমন সমাজ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে কোনও ভারতীয় যেন নিজেকে বিদেশি না মনে করেন।’ তিনি আরও লেখেন, ‘সমস্ত স্কুলগুলিকে ভারতের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি শেখানো উচিত। গণমাধ্যমকেও উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দাদের মর্যাদা দিতে হবে। কোনও রকম পক্ষপাতিত্ব করা চলবে না। রাজনৈতিক নেতাদের সরব হতে হবে। মনে রাখবেন, নীরবতার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা।’
ত্রিপুরার বাসিন্দা বছর চব্বিশের অ্যাঞ্জেল দেরাদুনের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছিলেন। জানা গিয়েছে, গত ৯ ডিসেম্বর তিনি ও তাঁর দাদা মাইকেল চাকমা কিছু সামগ্রী কিনতে বাজারে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে কয়েকজন মদ্যপ যুবক তাঁদের বর্ণবিদ্বষী মন্তব্য করতে থাকেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা তাঁকে, চিনা নাগরিক বলে দাগিয়ে দেন। প্রতিবাদ করতেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন অ্যাঞ্জেল। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে চাকমা ভাইদের উপর আচমকা হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পাশাপাশি লোহার রড দিয়েও তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অ্যাঞ্জেল। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে হামলাকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি চিনা নই, ভারতের নাগরিক।”