এই সময়: পড়াশোনা বা চাকরি সূত্রে কেউ হয়তো এই মুহূর্তে ভিন রাজ্যে বা ভিন দেশে আছেন। আবার চিকিৎসার কারণেও কেউ বাইরে গিয়েছেন, এমনটাও হতে পারে। এই সব ভোটারদের ক্ষেত্রে হয়তো তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য এনিউমারেশন ফর্ম পূরণ করে, তাতে নিজের সই–সহ জমা দিয়েছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে ভিন রাজ্য বা ভিন দেশে থাকা এমন ভোটারদের কারও যদি হিয়ারিংয়ে ডাক পড়ে অথচ তিনি কর্মসূত্রে ব্যস্ততার কারণে এখন হাজিরা দিতে না–পারেন, তা হলে কী হবে? তাঁর বাবা–মা বা অন্য কোনও আত্মীয় প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে হিয়ারিংয়ে এলে কি চলবে? স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের (সার) হিয়ারিং পর্বে এই প্রশ্নটা বড় হয়ে উঠেছে।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) সঙ্গে দেখা করেও এই প্রশ্ন তুলেছে। তাদের প্রশ্ন, কেন এই ধরনের ভোটারদের ক্ষেত্রে বাবা-মা হিয়ারিংয়ে অংশ নিতে পারবেন না? তাঁদের ভার্চুয়াল হিয়ারিং-ই বা হবে না কেন? প্রথম দিন হিয়ারিংয়ে আসতে না পারলে কেন অন্য দিন শুনানির ব্যবস্থা হবে না?
যদিও সিইও মনোজ আগরওয়াল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যাঁকে হিয়ারিংয়ে ডাকা হবে তাঁকেই সশরীরে আসতে হবে। প্রয়োজনে প্রথম হিয়ারিংয়ে না আসতে পারলে দ্বিতীয়বার আসার জন্য সময় নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) বা এইআরও–রা সেই সুযোগ দেবেন। কিন্তু এখনও ভার্চুয়াল হিয়ারিংয়ের কোনও সুযোগ দেয়নি কমিশন। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতেও কমিশনের এই নীতি কার্যকর হয়েছে। কমিশন সূত্রের খবর, হিয়ারিংয়ে হাজিরা না দিলে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম ওঠার সুযোগ থাকবে না। সেক্ষেত্রে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করে আবেদনকারী তাঁর সুবিধামতো ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদন জানাতে পারেন।
কোনও কোনও জায়গায় বুথ লেভেল অফিসাররা (বিএলও) এখন বুথে বসছেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে। কমিশন সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে, সপ্তাহে তিন দিন দু’ঘণ্টা এবং ছুটির দিন চার ঘণ্টা করে বুথে বসতেই বিএলও–দের। সংশ্লিষ্ট ইআরও– এইআরওদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সময় ঠিক করতে হবে। সপ্তাহের কোন দিনগুলি বিএলও বুথে বসবেন, তা ওই বুথ এলাকায় প্রচার করে জানিয়ে দিতে হবে।
এ দিকে, ‘সার’ আবহে নিখোঁজ পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বিএলও অমিতকুমার মণ্ডলকে ওডিশার পুরী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ছ’দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। সিইও জানান, রাজ্যে ‘সার’ চলাকালীন যে বিএলও–রা মারা গিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে এখনও সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকরা কোনও রিপোর্ট দেননি।