টাটানগর-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেসে আগুন, ঝলসে মৃত্যু যাত্রীর
বর্তমান | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
বিশাখাপত্তনম: ফের ট্রেন দুর্ঘটনা। অন্ধ্রপ্রদেশের আনাকাপাল্লি জেলায় রবিবার গভীর রাতে টাটানগর-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। পুড়ে ছাই দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগি। রেলকর্মীদের তৎপরতায় বড়ো দুর্ঘটনা থেকে রেহাই মেলে। যদিও আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে এক যাত্রীর। এই ঘটনা ফের রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
টাটানগর থেকে বিশাখাপত্তনম হয়ে এর্নাকুলাম যাচ্ছিল ট্রেনটি। রেল পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইয়েলামানচিলি স্টেশনের কাছে রাত দেড়টা নাগাদ আগুন লক্ষ্য করেন লোকো পাইলট। প্যান্ট্রি কার সংলগ্ন বি১ ও এম২ কোচ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গেই স্টেশনে থামানো হয় ট্রেনটিকে। বের করে আনা হয় যাত্রীদের। তবে দমকল এসে পৌঁছানোর আগেই দাউদাউ করে আগুন ধরে যায় বগিদুটিতে।
রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বগি দুটিতে যথাক্রমে ৮২ ও ৭৬ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের সবাইকে নিরাপদে বের করে আনা হয়। যদিও এরইমধ্যে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। আনাকপাল্লের এসপি তুহিন সিনহা জানিয়েছেন, বি১ কামরার এক যাত্রী অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। বিজয়ওয়াড়ার ওই বাসিন্দার নাম চন্দ্রশেখর সুন্দর (৭০)। দমকল সূত্রে খবর, আনাকাপাল্লি, ইয়েলামানচিলি ও নাক্কাপাল্লির দমকলবাহিনী ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে যাত্রীদের জিনিসপত্র বাঁচানো সম্ভব হয়নি। কোচ দুটিও পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের একাধিক পদস্থ আধিকারিক।
দুর্ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ছিল বিশাখাপত্তনম-বিজয়ওয়াড়া রুটের ট্রেন চলাচল। রাত সাতে তিনটে নাগাদ পুড়ে যাওয়া কোচগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর অন্য যাত্রীদের নিয়ে রওনা দেয় ট্রেনটি। অন্যদিকে সরকারি বাসে করে ক্ষতিগ্রস্ত কামরাটির যাত্রীদের
সরকারি বাসে করে সমরলাকোটাতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নতুন দুটি এসি কোচ যোগ করা হয় ট্রেনটিতে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল। কোনও নিরাপত্তা গফিলতি ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শনিবার রাতেই বিহারে লাইনচ্যুত হয়েছিল মালগাড়ি। তার ২৪