খুঁজে খুঁজে তাড়ানো হবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের, হুংকার শাহের
বর্তমান | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবশেকারী খুঁজে খুঁজে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। একজনও ছাড় পাবে না। ঠিক যখন ১২ রাজ্যে চলছে এসআইআর এবং একঝাঁক রাজ্যে ইতিমধ্যেই কোটি কোটি নাম বাদ গিয়েছে, চলছে শুনানি, ঠিক তখন অসমের সরকারি মঞ্চ থেকে আরও বেশি অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযানের বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এসআইআর তো করাই হচ্ছে ভোটার তালিকা বিশুদ্ধ করার লক্ষ্যে। ঘোষিত লক্ষ্য ছিল, অনুপ্রবেশকারী কিংবা অবৈধ ভোটার ও জাল বা ডুপ্লিকেট ভোটার বাদ দেওয়া। সেই কাজ চলছে। এরকম সময় অমিত শাহ নতুন করে অনুপ্রবেশকারী বিতাড়নের ঘোষণা করায় প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এসআইআরের পর আরও কিছু আসছে? বস্তুত, যে রাজ্যে অমিত শাহ এই বক্তব্য রেখেছেন, সেই অসমেই অনুপ্রবেশকারী এবং অবৈধ বসবাসকারীদের চিহ্নিত করার জন্য দেশের মধ্যে প্রথম এনআরসি হয়েছে। ওই তালিকায় বাদ যাওয়া মোট সন্দেহজনক নাগরিকের মধ্যে ১২ লক্ষাধিক হিন্দু বাঙালি। যাদের আবেদন-নিবেদন বছরের পর বছর ধরে চলছে। সুপ্রিম কোর্টেও এনআরসি সংক্রান্ত চুড়ান্ত রায়দান অমীমাংসিত হয়ে রয়েছে। অসমে এনআরসির সময় থেকেই জেলায় জেলায় ডিটেনশন সেন্টার তৈরি হয়েছে। এবার এসআইআর চালু হওয়ার সিদ্ধান্তের পর সেই ধাঁচে উত্তরপ্রদেশের একঝাঁক জেলায় গড়ে তোলা হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্প। শনিবার থেকে বিশেষ করে বাংলায় চালু হয়েছে খসড়া তালিকা প্রকাশ পরবর্তী শুনানি পর্ব। অর্থাৎ সন্দেহভাজন ভোটারদের ডেকে পাঠানো। এই পর্বে প্রথম ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই দেখা গিয়েছে রাজ্যজুড়ে সাধারণ মানুষের হয়রানির পর্ব।
এতদিন ধরে বলা হয়েছে এসআইআর করা হচ্ছে, অনুপ্রবেশকারী সন্ধান করা কিংবা ভুয়ো ও মৃত ভোটার বাদ দেওয়ার লক্ষ্যে। অর্থাৎ, এসআইআর হয়ে যাওয়ার অর্থ সেই পর্ব সমাপ্তির পথে। একবার গোটা দেশে এসআইআর হয়ে যাওয়ার পর যখন চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়ে যাবে, তখন সরকারি ভাষ্যেই অনুপ্রবেশকারী থাকার কথা নয়। কিন্তু অসম থেকে অমিত শাহের এই ঘোষণার ফলে মনে করা হচ্ছে, এসআইআর হয়ে গেলেও অনুপ্রবেশ ইশ্যু শেষ হতে দিতে চায় না বিজেপি। বরং বাঁচিয়ে রাখতে চায়। তাই ২০২৫ সালের বিদায়ের প্রাক্কালেই অমিত শাহ ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছেন যে, এসআইআর যতইহোক, অনুপ্রবেশ ইশ্যু সমাপ্ত হবে না।