• দিল্লিতে দূষণ ফের মাত্রাছাড়া, বিমান ও ট্রেন লেটে ভোগান্তি, চাকরিতে ইস্তফা বহুজাতিক সংস্থার কর্তার
    বর্তমান | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ফের মাত্রাছাড়া দিল্লি ও এনসিআরের দূষণ পরিস্থিতি। ‘অতি খারাপ’ থেকে কার্যত এক লাফে দেশের রাজধানী শহরে বাতাসে দূষণ পরিমাপক একিউআইয়ের (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) মান পৌঁছে গিয়েছে ‘বিপজ্জনক’ এবং ‘গুরুতর’ সীমায়। দিল্লির মাত্রাতিরিক্ত দূষণের জেরে কাজে ইস্তফা দিয়েছেন বেসরকারি এক বহুজাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তা। ইমেলে পাঠানো সেই ইস্তফার আবেদনপত্র প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সামগ্রিক বিষয়কেই অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মনে করছে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মহল।

    সোমবার বিকেল চারটে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি) বিগত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লির যে গড় একিউআয়ের উল্লেখ করেছে, তা ৪০০-র গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, ‘সিভিয়ার’। ওই একই সময়ে অন্যান্য এনসিআর শহরেও একিউআইয়ের মান ৪০০ ছুঁইছুঁই। তবে সার্বিক মানই নয়, দিল্লির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় একিইউয়ের মান কার্যত প্রতি ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন, আনন্দবিহার বা আইটিও এলাকা। ইতিমধ্যেই দিল্লি সরকারের পরিবেশমন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা ঘোষণা করেছেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত শংসাপত্র (পিইউসিসি) না থাকলে কোনও গাড়ি বা বাইক পেট্রল পাম্প থেকে জ্বালানি পাবে না। এই ব্যবস্থা আপাতত স্থায়ীভাবে কার্যকর হয়েছে। পাশাপাশি ভিনরাজ্যে নথিভুক্ত বিএস-সিক্সের নীচের গাড়িকে অন্য রাজ্য থেকে দিল্লিতে ঢুকতে একাধিক বিধিনিষেধের সম্মুখীন হতে হবে। এহেন বন্দোবস্তও আপাতত স্থায়ীভাবে কার্যকর করেছে দিল্লির বিজেপি সরকার। দিল্লিতে মাত্রাছাড়া কুয়াশা এবং ধোঁয়াশায় লক্ষ্যণীয়ভাবে দেরিতে চলছে বিমান ও ট্রেন। ফলে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি চলছেই। তবে কোটি কোটি টাকায় কেনা প্রায় ২৬ হাজার ‘ফগ ডিভাইস’ সেভাবে কাজ না করলেও রেল যাত্রীদের ক্ষোভ সামাল দিতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করেছে মন্ত্রক। সোমবার সন্ধ্যায় রেল বোর্ড জানিয়েছে, কুয়াশার কারণে ট্রেন লেট হলে যাত্রীদের যাতে খাবার এবং পানীয় জল পেতে কোনও সমস্যা না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। নর্দার্ন রেল, উত্তর-পূর্ব রেল এবং উত্তর-মধ্য রেলের জেনারেল ম্যানেজারদের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, প্রত্যেক ট্রেনের ‘রিয়েল টাইম’ অবস্থান জানতে হবে। পাশাপাশি আইআরসিটিসিকেও অবিলম্বে ‘ওয়্যার রুম’ খুলতে বলা হয়েছে। সেখানে কেটারিং সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার চটজলদি সমাধানের ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। রেল জানিয়েছে, ইতিমধ্যে নয়াদিল্লির রেলভবনে একটি মনিটরিং রুম খোলা হয়েছে। সেখান থেকেও দেরিতে চলা যাবতীয় ট্রেনের ‘রিয়েল টাইম’ অবস্থান জানা হচ্ছে এবং সেইমতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)