জমি দেওয়ার পরও কাজ না হওয়ায় উঠছে প্রশ্ন, দোলঞ্চায় ব্রিজের দাবিতে ফের আন্দোলনে ব্লক কিষান কংগ্রেস
বর্তমান | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, ইসলামপুর: ব্রিজের জন্য জমি দান করার এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। নেতা, মন্ত্রী, আমলারা পরিদর্শন করেছেন। মাপজোখও হয়েছে। কিন্তু ব্রিজ কবে হবে? এই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না।
ইসলামপুরের ডাঙ্গাপাড়ায় দোলঞ্চা নদীতে ব্রিজের দাবিতে এবার আন্দোলনে নামল ব্লক কিষান কংগ্রেস কমিটি। ব্রিজের দাবিতে ইসলামপুরে মিছিল, এসডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও শেষে স্মারকলিপি দেন নেতা কর্মীরা। আগামীতে জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও করার হুমকিও দিয়েছেন ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি হারুন রসিদ।
কয়েক দশক ধরে বাসিন্দারা ব্রিজের দাবি জানিয়ে বহু আন্দোলন করেছেন। কিন্তু আজও পূরণ হয়নি। ফলে এবার কংগ্রেসের আন্দোলনে সেই দাবি ফের জোরালো হয়ে উঠেছে। হারুন বলেন, এখানে দীর্ঘদিন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালও ইসলামপুরের বাসিন্দা। মন্ত্রী গোলাম রব্বানি ইসলামপুরে থাকেন। সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে। তার পরেও ইসলামপুরে একটি ব্রিজ হচ্ছে না। ফের এসডিও’র কাছে ব্রিজের দাবি জানিয়েছি। দ্রুত দাবি পূরণ না হলে ডিএম অফিস ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছেন হারুন। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন জীবন মোড়ে দলীয় নেতাকর্মীরা জমায়েত হন। তাঁদের সঙ্গে জমিদাতা পরিবারের সদস্যও ছিলেন। সেখান থেকে মিছিল করে এসডিও অফিসের সামনে আসেন। সেখানে নেতৃত্ব ভাষণ দেন। পরে এক প্রতিনিধি দল গিয়ে এসডিওর সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয়দের দাবি, ব্রিজ নির্মাণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অ্যাপ্রোচ রোডের জমি। কারণ সেই জমি ছিল ব্যক্তি মালিকানাধীন। ব্রিজ যাতে নির্মাণ হয়, সেজন্য জমিও দান করেছেন বাসিন্দারা। গত বছর জুনে জমি দানের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলেও কাজ শুরু হয়নি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী উদয়ন গুহ গত জানুয়ারিতে ডাঙ্গাপাড়া পরিদর্শন করে আশ্বাস দিয়েছিলেন এপ্রিল-মে মাসে ব্রিজের প্রক্রিয়া শুরু হবে। গত জুলাইয়ে ইসলামপুরে একটি অডিটোরিয়াম নির্মাণের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে উদয়ন জানিয়েছিলেন, ব্রিজের বাজেট বেশি বলে অর্থ দপ্তরের অনুমোদন নিতে হবে। এসডিও অঙ্কিতা আগরওয়াল বলেন, খোঁজ নেওয়ার পর এবিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু বলতে পারব। বাসিন্দারা বলছেন, মাটিকুণ্ডা ১ ও ২ এবং পণ্ডিতপোঁতা ১ পঞ্চায়েতের সংযোগস্থলে ডাঙাপাড়ায় দোলঞ্চা নদী। সেখানে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডাঙাপাড়া, আশ্রম, গোধাগছ, কাশিবাড়ি, কাঠালবাড়ি, বাঁসবাড়ি, মাজিদপুর, ডাঙাপাড়া জুনিয়ার হাইস্কুল, প্রাইমারি স্কুল, রহটপুর মাদ্রাসার পড়ুয়ার যাওয়া আসা করে। শুখা মরশুমে সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার করা যায়। কিন্তু বর্ষার সময় জলের প্রবল স্রোতে সাঁকো ভেঙে যায়। সেই সময় ১০-১৫ কিমি ঘুরপথে ইসলামপুর শহরে আসা যাওয়া করতে হয়। সেতুর দাবিতে ইসলামপুর ব্লক কিষান কংগ্রেস কমিটির মিছিল।-নিজস্ব চিত্র