• প্রতিবেশী রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহে মালদহে শীতলতম দিন
    বর্তমান | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ, সংবাদদাতা মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুর: ঠান্ডায় কাঁপছে গৌড়বঙ্গ। লেপ, কম্বল, সোয়েটার, মাফলার, চাদর গায়ে চাপিয়েও কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অনেকে। এরই মধ্যে সোমবার ছিল এবছর মালদহে শীতলতম দিন। রৌদ্রের দেখা না মেলায় ঠান্ডা প্রবলভাবে অনুভূত হয়েছে জেলায়। আবহাওয়া বিজ্ঞানের সংজ্ঞায় একে প্রকৃত অর্থে  ‘শৈত্যপ্রবাহ’ বলা না গেলেও জেলায় প্রতিবেশী রাজ্যের শৈত্যপ্রবাহের পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও পরিস্থিতি অনেকটা একই। মঙ্গল এবং বুধবারও এই আবহাওয়া বজায় থাকবে বলে জানা গিয়েছে।  

    মালদহ আবহাওয়া দপ্তরের পদস্থ আধিকারিক তপনকুমার দাস বলেন, সোমবার ছিল মালদহের শীতলতম দিন। এদিন জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ১০ ডিগ্রি কম ছিল তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক বলেন, আক্ষরিক অর্থে জেলায় শৈত্যপ্রবাহ না চললেও ২৭ ডিসেম্বর থেকে ঝাড়খণ্ড, বিহার ও উত্তর ভারতের অন্যান্য রাজ্যের শৈত্যপ্রবাহের বেশখানিকটা প্রভাব পড়েছে মালদহে। ভোরবেলায় যে তাপমাত্রা থাকছে, সারাদিনে তা আর তেমন বাড়ছে না। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ফারাক খুব কম থাকায় মানুষের কষ্ট বেড়েছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, মঙ্গল ও বুধবার এই তীব্র ঠান্ডা বজায় থাকবে। তারপর থেকে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও আবারও কনকনে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে মালদহে।

    রাতের মতো দিনেও কনকনে ঠান্ডার রেশ রায়গঞ্জ তথা উত্তর দিনাজপুর জেলায়। সঙ্গে ঠান্ডা হাওয়া ও ঘন কুয়াশার দাপট। সিকিম আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুরে মেঘের আস্তরণ থাকায় দিনে মুখ দেখা যাচ্ছে না সূর্যের। ফলে দিনেও বাড়ছে না তাপমাত্রা। ফলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কমেছে। সিকিম আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, কয়েকদিন ঠান্ডার দাপট চলবে। রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিনেও পারদ নামছে।  গত ২৪ ঘন্টার রায়গঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩.৪ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। মেঘ ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার পাশাপাশি ৯ কিমি প্রতি ঘন্টায় বাতাস বইছিল। ফলে দিনভর তীব্র শীত অনুভূত হয়। দিনের বেলাতেই লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন যাওয়া আসা করতে দেখা গিয়েছে। বালুরঘাট মাঝিয়ান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

    মাঝিয়ান আবহাওয়া কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক সুমন সূত্রধর বলেন,৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ধরনের আবহাওয়া বজায় থাকবে। • নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)