গুচ্ছ অভিযোগের পর টনক নড়ল কমিশনের, বয়স্কদের এসআইআর শুনানি হবে বাড়িতেই
বর্তমান | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বয়স্ক ভোটারদের শুনানিতে অযথা হেনস্তার অভিযোগ উঠছিল। রাজ্যের একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছিল, দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন বয়স্ক ভোটাররা। বিষয়টি নিয়ে কমিশনে গিয়ে অভিযোগও জানিয়ে এসেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরই সোমবার নির্দেশিকা জারি করে কমিশন জানিয়ে দিল, ৮৫ ঊর্ধ্ব ভোটরকে শুনানি কেন্দ্রে আসতে হবে না। বাড়িতেই তাঁদের শুনানি হবে। ইতিমধ্যে এই ধরনের যেসব ভোটারকে শুনানির নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তাঁদের ফোনে একথা জানিয়ে দিতে বিএলও’দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য বয়স্ক, অসুস্থ এবং শারীরিকভাবে অক্ষম কোনও ভোটার বাড়িতে শুনানির অনুরোধ করলে তাঁর শুনানি বাড়িতেই করতে হবে বলে ওই নির্দেশে কমিশন জানিয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করছি, প্রবীণ নাগরিকদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করুন। বিশেষ করে ষাট বছরের বেশি বয়সি যাঁরা অসুস্থ, তাঁদের শুনানির জন্য ডাকা থেকে রেহাই দেওয়া হোক।’ এদিন বেলার দিকে সিইও দপ্তরে গিয়ে বয়স্কদের হয়রানি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সিইও মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। সিইও’র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা সমস্যাগুলির কোনও সমাধান করছেন না। কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।’
শুনানি প্রক্রিয়ায় আরও কিছু অসুবিধা নিয়েও একাধিক অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। রবিবারই বিএলএ’দের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকে বয়স্কদের শুনানিতে ডাকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ ভৌমিক, শশী পাঁজারা বলেন, বয়স্ক নাগরিকদের যেসব সমস্যা বারবার জানানো হয়েছে, সেগুলির এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান হয়নি। এই পরিস্থিতি কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পার্থ ভৌমিক হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, যদি আমাদের বিষয়টি জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে তুলে ধরা না-হয়, তাহলে আমরা আগামীকাল আবার এখানে ফিরে আসব। যাঁরা রাজ্যের বাইরে রয়েছেন, তাঁদের ভার্চুয়ালি হিয়ারিংয়ের দাবিও জানান তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তাঁরা আরও প্রশ্ন তুলেছেন, ইনিউমারেশন ফর্ম বিলির সময় বিএলও’র সঙ্গে ছিলেন বিএলএ’রা। তাহলে তাঁরা হিয়ারিংয়ের সময় থাকতে পারবেন না কেন? সব রাজনৈতিক দলের বিএলএ’রা থাকবেন। যদি বিএলএ’দের থাকতে না দেওয়া হয়, সেটা লিখিত জানাক কমিশন। যদিও বিএলএ’রা শুনানি কেন্দ্রে থাকতে পারবে না বলেই এদিন কমিশন জানিয়েছে।