• বিধি ছ’মাসে, ‘রাম–জি’ কার্যকর হবে কী ভাবে? স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে প্রশ্ন বিরোধী MP–দের
    এই সময় | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, নয়াদিল্লি: সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে গায়ের জোরে ‘ভিবি জি রাম জি’ আইন প্রণয়ন করার পরেও শান্তিতে নেই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার৷ নতুন আইন কার্যকর করতে সময় লাগবে প্রায় ছ’মাস৷ কারণ, এই আইন প্রয়োগ করার জন্য প্রয়োজনীয় বিধি তৈরি করতে হবে আগে৷ প্রতিটি রাজ্যে কী ভাবে কার্যকর করা হবে নতুন গ্রামীণ রোজগার প্রকল্প, তা নির্ধারণ করতে হবে৷ এই অবস্থায় আগামী ছ’মাস কী ভাবে গ্রামীণ রোজগার প্রকল্প চালানো হবে দেশে? নতুন আইন কার্যকর হওয়ার আগে কি তা হলে ১২৫ দিনের গ্যারান্টি যুক্ত কাজ পাবেন না দেশের খেটে খাওয়া গরিব মানুষ? সোমবার এই প্রশ্ন উঠল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রকের অধীনস্থ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে৷ সংসদীয় সূত্রের দাবি, এ দিনের বৈঠকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন সচিব এবং উচ্চপদস্থ কেন্দ্রীয় আমলাদের সামনেই সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বিরোধী শিবিরের সাংসদরা প্রশ্ন তোলেন, কী ভাবে নতুন আইন কার্যকর করা হবে? ছ’মাস সময় যদি লাগে এই আইন প্রয়োগ করতে, তা হলে এই ছ’মাস কি গ্রামীণ রোজগার প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকবে?

    আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে সাধারণ বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন৷ এ দিন বিরোধী সাংসদরা প্রশ্ন তোলেন, সেই বাজেটে কী ভাবে গ্রামীণ রোজগার প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হবে? যে সব রাজ্য মনরেগা প্রকল্পের খাতে বিপুল পরিমাণ টাকা পায়, কেন্দ্রের থেকে তারা কী ভাবে নিজেদের ন্যায্য বকেয়া টাকা ফেরত পাবে? এখন পুরো গ্রামীণ রোজগার প্রকল্প নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তার সমাধান করা হবে কী করে? সরকারি আমলাদের সামনেই এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা৷ সংসদীয় সূত্রের দাবি, বিরোধী শিবিরের সাংসদদের তোলা প্রশ্নের উত্তরে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আমলারা, তাতে সন্তুষ্ট হননি বিরোধী সাংসদরা৷

    সংসদীয় সূত্রের দাবি, বৈঠকের মাঝেই শাসক ও বিরোধী শিবিরের সাংসদদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ শুরু হয় নতুন প্রকল্পের বাস্তবায়ন এবং মহাত্মা গান্ধীর নাম মুছে ফেলার বিষয় নিয়ে৷ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে গিয়ে মোদী সরকার আসলে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে অত্যাচার করছে, তাদের পেটে লাথি মারতে উদ্যত হয়েছে, এমন অভিযোগও করেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা, দাবি সংসদীয় সূত্রের৷ দেশের অধিকাংশ রাজ্যে এই ১০০ দিন দূরে থাক, ৫০ দিন কাজের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ করা হয়নি, এমনও অভিযোগ ওঠে৷

    এই পরিস্থিতিতে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পুরোনো সুপারিশ মেনে কেন ১৫০ দিন কাজের গ্যারান্টি দেওয়া হলো না— এই প্রশ্নও তোলেন বিরোধী সাংসদরা৷ সংসদীয় সূত্রের দাবি, বৈঠকে সরকারের তরফে দাবি জানানো হয়, দেশের খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থেই সব দিক বিবেচনা করে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হবে৷ বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান, কংগ্রেস সাংসদ সপ্তগিরি উলাকা বলেন, ‘মনরেগা প্রকল্প এখন একটা রূপান্তরের স্তরে আছে৷ এই অবস্থায় গোটা প্রকল্পের রূপান্তর কী ভাবে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে, সেই বিষয় নিয়েই এ দিনের বৈঠকে সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে৷ এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়েছে সরকারকে৷’

  • Link to this news (এই সময়)