• নথি কই? শুনানিতে ডাক বাম মন্ত্রীকেও
    আনন্দবাজার | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সমস্ত রকম নথি বুথ লেভেল অফিসারের (বিএলও) হাতে তুলে দেওয়ার পরেও শুনানির চিঠি পেলেন জনপ্রিয় বাম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন এক মন্ত্রী। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিএলও-র কাছে এসআইআর (বিশেষ নিবিড় সংশোধন)-এর জন‍্য তাঁর নাগরিকত্বের সমস্ত নথি তুলে দিয়েছিলেন ওই প্রাক্তন মন্ত্রী। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ভোটার হিসেবে তিনি তো রয়েইছেন! তার উপরে তখন তিনি রাজ্য বিধানসভার সদস্য এবং ক্যাবিনেট মন্ত্রী। ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি মন্ত্রী ছিলেন। এর পরে ২০১৬ এবং ২০২১এর বিধানসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচন কমিশনের তরফে শুনানির জন্য তাঁকে ২ জানুয়ারি তলব করা হয়েছে। ওই নোটিস হাতে পেয়ে কার্যত স্তম্ভিত ওই প্রাক্তন মন্ত্রী।

    সোমবার ওই প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, "এটি ইচ্ছাকৃত ভুল না অনিচ্ছাকৃত, কোনও চাপের মুখে পড়ে আমার নামে এমন নোটিস জারি করা হল কি না, জানাটা জরুরি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট মহকুমা শাসক ও ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের কাছে আমার এবং আমার পরিবারের সবার নাগরিকত্ব প্রমাণের সব নথি পাঠিয়েছি। গত ৩০ বছরের ভোটার তালিকার কপি পাঠিয়েছি। বিধানসভার সমস্ত নথিও দেওয়া হয়েছে।” মন্ত্রী অবশ্য শুনানির নোটিস অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দফতরে থাকবেন বলে জানাচ্ছেন। সেই সঙ্গে বিষয়টি সবিস্তার জানিয়ে সব নথি জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং এ রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের মুখ‍্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে তিনি ই-মেল করেছেন বলে জানান।তবে নির্বাচন কমিশনের তরফে ওই মন্ত্রীকে নোটি জারি করে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী সমস্ত নথি তিনি জমা দেননি। সমস্ত নথি-সহ শুনানির দিন হাজির হতে হবে তাঁকে। এসআইআর ফর্মে তাঁর দেওয়ার তথ্যের প্রেক্ষিতে নথি জমা দিতে না পারলে কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে বলেও নোটিসে উল্লেখকরা হয়েছে।

    মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এবং সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ শুনানির নোটিশ জারি করার মধ‍্যে আবার অন‍্য রকম চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন। তাঁদের মতে, এক শ্রেণির বিএলওর উপর একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের পরামর্শদাতা সংস্থা নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। প্রাক্তন মন্ত্রীকে শুনানির নোটিস দেওয়া হলে চারদিকে সোরগোল পড়বে এবং তাতে কমিশনের গাফিলতির একটি দৃষ্টান্ত প্রকাশ্যে আসবে, এটাওকারও উদ্দেশ্য হতে পারে বলে কেউ কেউ ভাবছেন।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)