• চার্চ মেলায় বিকোচ্ছে কালনার পিঠে-পুলি, স্বাদ পেতে ভিড়
    এই সময় | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, মেদিনীপুর: শীতের হাওয়া গায়ে মেখে দুধপুলি খেতে খেতেই এক তরুণী তাঁর প্রেমিককে বললেন, 'মন্দ নয়।' প্রেমিকও তখন ভাপা পিঠে খেতে ব্যস্ত। রবিবার দু'জনে মেদিনীপুরের নির্মল হৃদয় আশ্রম চার্চ স্কুল মাঠে বসা ঐতিহ্যবাহী মেলায় এসে শীতে প্রথম পিঠের স্বাদ নিলেন। কালনা থেকে বেশ কিছু লোকজন পিঠে-পুলির ভাণ্ডার নিয়ে এই মেলায় এসেছিলেন। সেই স্বাদের সাগরে ডুব দিয়েছে মেদিনীপুরবাসী। কালনার ওই পিঠের স্টলেই এ বার সবচেয়ে বেশি ভিড়।

    বড়দিন উপলক্ষে এই মাঠে মেলা বসে। প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও মেলা বসেছে ২৫ ডিসেম্বর থেকে। মেলার প্রথম দিনেই ভালো বিক্রি হওয়ায় উৎসাহিত বিক্রেতারা শুক্রবার সকাল থেকেই পিঠে তৈরির কাজে নেমে পড়েছিলেন। রবিবার ছুটির দিনে সেই ভিড় আরও বাড়ে বলে জানান দোকানিরা। ফলে জিনিসপত্রও তেমনই রাখতে হয়েছিল। দোকানিদের কথায়, 'চাহিদা এতটাই বেশি যে জোগান ঠিক রাখতে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। পাটিসাপটা, মালপোয়া, দুধপুলি, ভাপা পিঠে-সহ নানা স্বাদের রকমারি পিঠে সাজানো রয়েছে স্টলে।' পিঠে-পুলির পসরা সাজিয়ে বসা দোকানিরা জানান, এই মেলায় এসে সবাই পিঠে-পুলি চেখে দেখছেন। এটাই তো ভালো।

    চার্চের মাঠে কেকের গন্ধের পাশে একই ভাবে বিকোছে পিঠে-পুলি। এ থেকে বোঝা যায়, বাজার জুড়ে নতুন ধরনের মিষ্টি, কেক থাকলেও পিঠে-পুলির স্বাদ মানুষ এখন ভুলে যায়নি। কালনা থেকে আসা পিঠে বিক্রেতা কার্তিক দাস বলেন, 'বেশ কয়েক বছর ধরে মেদিনীপুরের চার্চের মেলায় পিঠের স্টল দিচ্ছি। এখানকার মানুষ পিঠে খুব ভালোবাসেন। তাই বিক্রিও ভালো হয়।'

    শীতের মরশুম মানেই বাঙালির ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির আয়োজন হয়। তবে শহরের ব্যস্ত জীবনে এত আয়োজন করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। তাই পিঠে-পুলির স্বাদ নিতে শহরবাসীর ভরসা এই মেলাই। মেলায় আসা মেদিনীপুরের বাসিন্দা স্বপ্না ঘোড়াই, রিঙ্কি সিনহা ও পল্লব দাস জানান, বাড়িতে চালের গুঁড়ো, নারকেল, গুড়, ক্ষীর জোগাড় করে এত রকমের পিঠে বানানো কঠিন। তার চেয়ে মেলা থেকে কিনে খাওয়াই সহজ। শুধু নিজেরা নয়, পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্যও পিঠে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

  • Link to this news (এই সময়)