আজকাল ওয়েবডেস্ক: কবর থেকে লাশ গায়েব! শেষমেশ পুলিশের দারস্থ কবরস্থান কমিটি। হুগলির বলাগড়ের সিজা কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ৭০ বছরের বৃদ্ধ সেখ বাবু জানের (কালো) আট মাস আগে মৃত্যু হয় বয়সজনিত কারণে। কামালপুর গ্রামের কবরস্থানে তাঁর মৃতদেহ কবরস্থ করা হয়। গত রবিবার সেখানে ছাগল চড়াতে গিয়ে এক গ্রামবাসী দেখেন কবর খোঁড়া।
করবস্থানের কমিটি বিষটি জেনে সেখানে গিয়ে দেখে সেখ বাবু জানের দেহ চুরি হয়েছে। কামালপুর কবরস্থান কমিটির সম্পাদক মীর জসিমউদ্দীন বলেন, 'আমরা বিষয়টি জানতে পেরে বলাগড় থানার পুলিশকে জানাই।আজ লিখিত অভিযোগ করেছি। এর আগে কোনওদিন এরকম ঘটনা ঘটেনি। এরকম হলে যাঁরা দেহ কবর দেন, তাঁরা ভয় পাবেন। পুলিশে অভিযোগ করেছি। তদন্ত করে জানা যাবে কী উদ্দেশ্যে মৃতদেহ কবর থেকে তুলে নিয়ে গেছে।'
বাবু জানের খুরতুতো ভাই সেখ আজিজুল রহমান বলেন, 'দাদা বয়সজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন। একদিন আচমকা পড়ে যান। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়। ধর্মীয় রীতি মেনে তাঁকে আমরা কবরস্থ করি। কিন্তু এখন জানতে পারছি খবর খু্ঁড়ে মৃতদেহ কেউ তুলে নিয়ে চলে গেছেন।গ্রামে কোথাও সিসি ক্যামেরারও ব্যবস্থা নেই। তাই জানা যাচ্ছে না কে বা কার এটা করলেন।'
চলতি বছরে মে মাসে এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি এক নম্বর ব্লকের রাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শ্রীরামপুরে ঘটল চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটে। প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো একটি কবরস্থান থেকে এক যুবক কঙ্কাল খুঁড়ে পাচারের চেষ্টা করতেই গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে যায়।
সোমবার সকাল দশটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। গ্রামের প্রাচীন কবরস্থানে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন এক যুবক। ঝোঁপঝাড়ে ঢাকা অংশে তিনি যখন মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল তোলার চেষ্টা করছিলেন, তখনই এক গ্রামবাসীর নজরে পড়ে যান।
তৎক্ষণাৎ গ্রামবাসীরা তাঁকে ধরে ফেলে ও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। যুবকের অসংলগ্ন কথায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয় গ্রামবাসীদের। মুহূর্তে খবর ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। ভিড় জমে যায় কবরস্থানে।
গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত যুবককে আটক করে খবর দেন কাঁথি থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও উত্তেজিত জনতা যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। তৈরি হয় উত্তেজনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ধৃত যুবক পূর্ব মেদিনীপুরেরই এগরা থানার ভবানীচক এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় তিনি একা জড়িত নয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। পুরো ঘটনার পেছনে কোনও বৃহত্তর চক্র কাজ করছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।