• পেছন থেকে বাবার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, মেয়ের অশ্লীল Video'র প্রতিবাদ করে খুন জওয়ান
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • নিশা আনন্দ

    মেয়ের অশ্লীল ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিবাদ জানানোর চেষ্টা করেছিলেন এক বিএসএফ জওয়ান। সেই জওয়ানকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ভয়াবহ ঘটনার কথা তুলে এনেছেন ওই জওয়ানের পুত্র প্রতীক বাঘেলা। প্রসঙ্গত গুজরাটের নাদিয়ার জেলাতে এই ঘটনা হয়েছিল।

    ভয়াবহ সেই ঘটনা সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সামনে তুলে ধরেছেন ওই জওয়ানের পুত্র। তিনি জানিয়েছেন, ভিডিয়োটা ভাইরাল করা হয়েছিল। এনিয়ে আমার অভিভাবকরা ও ভাই কথা বলতে গিয়েছিল। যারা এটা করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল তাদের সঙ্গেই কথা বলতে গিয়েছিল তারা। সেই সময়ই পেছন থেকে কিছু লোক ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপর আমার বাবার উপর হামলা চালায়। একটা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করে ওরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।

    পুলিশ জানিয়েছে, ওই জওয়ান শৈলেশ যাদব নামে অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। তাঁর নাবালিকা কন্য়ার অশ্লীল ভিডিয়ো সম্পর্কিত ব্যাপারেই ওই ঝামেলাটা শুরু হয়েছিল। আর তখনই শৈলেশের আত্মীয়রা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ওই জওয়ানের উপর। শৈলেশই ওই ভিডিয়ো ছড়়িয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ

    ডেপুটি সুপারিন্টেডেন্ট অফ পুলিশ ভিআর বাজপেয়ী সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, মৃতের নাম মেলজিভাই বাঘেলা। তিনি তাঁর ছেলে ও অন্যান্য আত্মীয়দের নিয়ে শৈলেশের গ্রামে গিয়েছিলেন। সেখানেই শৈলেশের আত্মীয়দের সঙ্গে বাঘেলার বচসা বাঁধে। তখনই শৈলেশের বাবা, কাকা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য়রা হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই ওই জওয়ানের মৃত্যু হয়। তার ছেলে জখম হয়েছেন।

    বিএসএফ জওয়ানের পুত্র নবদীপ বাঘেলাকে এরপর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। প্রসঙ্গত বাঘেলা বিএসএফের ৫৬ ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় গোটা দেশের শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে এফআইআরে কী উল্লেখ করা হয়েছে?

    এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, শৈলেশ ওরফে সুনীল যাদব ওই ভিডিয়োটি তৈরি করেছিল বলে অভিযোগ। তবে অসমর্থিত সূত্রে খবর, শৈলেশ ও সেনা জওয়ানের কিশোরী কন্য়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা ক্লাসমেট ছিল। কিন্তু কেন সে ওই কিশোরীর অশ্লীল ভিডিয়ো নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে দিল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

    ঘটনার পরে তদন্তে নামে পুলিশ। দুজন মহিলা সহ সাতজন অভিযুক্তকে বর্তমনে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। মেয়ের অশ্লীল ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছিল বাবার।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)