নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: এসআইআরের নোটিশ পেয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। সেই উদ্বেগে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন তিনি। গতকাল, সোমবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর-১ নং ব্লকের হলদিয়া-১ নং পঞ্চায়েতের সাদি গ্রামে ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি। ওই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মৃতের নাম বিমলচন্দ্র শী(৭৫)। তিনি চাকরিসূত্রে কলকাতায় ভাইয়ের কাছেই থাকতেন। ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় নাম ছিল না বিমলবাবুর। এই অবস্থায় তাঁর কাছে এসআইআরের শুনানির জন্য নোটিশ আসে। আগামী ২ জানুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার শুনানির জন্য রামনগর-১ নং বিডিও অফিসে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ওই নোটিশ পাওয়ার পরই বিমলচন্দ্র শী উৎকণ্ঠায় ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। তারপরেই, গতকাল, সোমবার রাতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। অভিযোগ পরিবারের। আজ, মঙ্গলবার ভোরে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।মৃতের ছেলে দীপক শী বলেন, এসআইআরের শুনানি সংক্রান্ত নোটিশ আসার পর থেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন বাবা। ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম ছিল না। এই অবস্থায় এসআইআরের পর ভোটার তালিকায় নাম থাকবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকে এই চরম পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। এমনটাই অনুমান আমাদের। এই বিষয়ে কাঁথির মহকুমা শাসক প্রতীক অশোক ধুমল বলেন, বিমলচন্দ্রবাবু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ছিলেন। তিনি পেনশন পেতেন। এসআইআর নোটিশ পেয়েছিলেন। তবে, তাঁর কাছে পেনশনের পেপার ছিল। যে কারণে এসআইআর নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু ছিল না। শুনেছি, তিন-চারদিন ধরে বাড়িতে কোনও বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল। সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।