আক্রান্ত পুলিশ, অসমে পহেলগাঁও সন্ত্রাসের সমর্থক ছিনতাই ‘বাংলাদেশি’দের! গ্রেপ্তার ১০
প্রতিদিন | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে পহেলগাঁও সন্ত্রাসের সমর্থককে ছিনিয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে অসমের লখিমপুর জেলায়। ‘পরিকল্পিত’ এই হামলায় আহত হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী। ঘটনার তদন্তে নেমে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তরা বাংলাদেশের বাসিন্দা।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর সোশাল মিডিয়ায় এই সন্ত্রাসের সমর্থকদের বিরুদ্ধে কড়া হাতে মাঠে নামে অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। গ্রেপ্তার করা হয় একাধিক জনকে। এই মামলাতেই অভিযুক্ত ছিল বাহারুল ইসলাম নামে এক যুবক। গত ২৭ ডিসেম্বর পুলিশের কাছে খবর আসে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক বাহারুল লখিমপুরের সোনাপুর এলাকায় লুকিয়ে আছে। সেইমতো ওই এলাকায় গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। তবে অভিযুক্তকে নিয়ে সেখান থেকে ফেরার সময় হামলা চলে পুলিশের উপর। ১০-১২ জনে একটি দল ইট-লাঠি নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করে। ব্যাপক মারধর করা হয় পুলিশকে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় অভিযুক্তকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তে নেমেই এবার ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লখিমপুরের এসএসপি গুণেন্দ্র ডেকা বলেন, পহেলগাঁও হামলার পর জঙ্গিদের প্রশংসা করে সোশাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছিল অভিযুক্ত বাহারুল। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে আতাবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল পুলিশের উপর হামলা চালায়। এটি ছিল পরিকল্পিত হামলা। এই ঘটনায় সাব-ইন্সপেক্টর গোকুল জয়শ্রী এবং গাড়ির চালক গুরুতর আহত হন। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী কম-বেশি আহত হন। ঘটনার তদন্তে নেমে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে পুলিশের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার পর ফের গা ঢাকা দিয়েছে মূল অভিযুক্ত বাহারুল। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে। সোনা পাচারের মামলায় এর আগেও একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল অভিযুক্ত বাহারুলকে।