• ‘জেহাদিদের পক্ষে ছিলেন, খালেদার মৃত্যুতে আমার ৩১ বছরের নির্বাসনের সমাপ্তি ঘটবে?’ প্রশ্ন তসলিমার
    প্রতিদিন | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে ৮০ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)। অতীত শত্রুতা ভুলে খালেদার মৃত্যুতে শোকবার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি নেত্রীর শাসনকালেই তসলিমা নাসরিনের (Taslima Nasrin) একাধিক বই নিষিদ্ধ হয়েছিল বাংলাদেশে। এমনকী শেষকালে দেশ থেকে ‘তাড়ানো হয়’ তাঁকে, খালেদার মৃত্যুর পর সোশাল মিডিয়ার পোস্টে মনে করিয়ে দিলেন ‘লজ্জা’, ‘আমার মেয়েবেলা’র লেখিকা। তসলিমার প্রশ্ন, “তাঁর (খালেদার) মৃত্যুতে কি আমার ৩১ বছরের নির্বাসনদণ্ডের সমাপ্তি ঘটাবে?”

    এদিন ফেসবুক দীর্ঘ পোস্ট করেছেন তসলিমা। সেখানে সদ্য প্রয়াত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। লিখেছেন, “দীর্ঘ একটি জীবন। শেখ হাসিনা তাঁকে দু’বছর জেলের ভেতরে রেখেছিলেন, সেই সময় ছাড়া ৮১ সালের পর থেকে তাঁর দুর্ভোগ বলতে কিছু ছিল বলে আমার মনে হয় না। অসুখ বিসুখের কষ্ট সবারই থাকে, তাঁরও ছিল।” এরপরেই সাল-তারিখ উল্লেখ করে তাঁর একাধিক বই ‘ব্যান’ করার প্রসঙ্গটি তোলেন তসলিমা। লেখেন, “তিনি আমার লজ্জা ব্যান করেছিলেন ১৯৯৩ সালে। উতল হাওয়া ব্যান করেছিলেন ২০০২ সালে। ক ব্যান করেছিলেন ২০০৩ সালে। সেই সব অন্ধকার ব্যান করেছিলেন ২০০৪ সালে।”

    এরপর জনপ্রিয় লেখিকার স্বগতক্তি, “বেঁচে থাকাকালীন তিনি তো বাকস্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়ে বইগুলো থেকে ব্যান উঠিয়ে যাননি। তাঁর মৃত্যুই যদি বাকস্বাধীনতাকে এখন রক্ষা করে।” এমনকী খালেদা জেহাদিদের পক্ষ নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করে তসলিমা লিখেছেন, “তিনি তো ১৯৯৪ সালে একজন ধর্মনিরপেক্ষ, মানবতাবাদী, নারীবাদী, মুক্তচিন্তক লেখকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মামলা করে জেহাদিদের পক্ষ নিয়েছিলেন। লেখকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।” উল্লেখ্য, এর পরেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হন ‘দ্বিখণ্ডিত’র লেখিকা। তসলিমার প্রশ্ন, “তাঁর মৃত্যু কি আমার ৩১ বছরের নির্বাসনদণ্ডের সমাপ্তি ঘটাবে? নাকি এক শাসকের অন্যায় আরেক শাসক যুগের পর যুগ বহন করে চলবেন?”
  • Link to this news (প্রতিদিন)