কোভিড মহামারী থেকে ঘূর্ণিঝড়, বিপদে জোড়াসাঁকোর মানুষের পাশে বিবেক
প্রতিদিন | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার বঙ্গ সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, ছাব্বিশের এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট। বলা বাহুল্য, এখন রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে বিধায়কদের গত পাঁচ বছরের ‘রিপোর্ট কার্ড’ যাচাই করবে জনতা। কলকাতার জোড়াসাঁকোর বাসিন্দারা বলছেন, কোভিড মহামারী-লকডাউন-ইয়াস ঘূণিঝড়ের মতো সংকটকাল পাশে থেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বিধায়ক বিবেক গুপ্তা।
জোড়াসাঁকো মহানগরের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ নির্বাচনী এলাকাগুলির মধ্যে একটি। বড়বাজারের বাণিজ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে কলকাতার অন্যতম পুরনো জনপদ গিরিশ পার্ক পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানকার বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, রাজনৈতিক রং দেখে নেয়, আপামর মানুষের বিপদে-আপদে সঙ্গে থেকেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। প্রয়োজন মতো সাহায্য মিলেছে তাঁর অফিস থেকে।
এলাকাটি জনাকীর্ণ হওয়া সত্বেও মহামারীর সময় সিটি কলেজ, আমহার্ট স্ট্রিট-সহ বিভিন্ন জায়গায় ‘সেফ হোম’ তৈরি করা হয়েছিল বিধায়কের উদ্যোগে। জোড়াসাঁকো বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী মনোজ সিনহা বলেন, “আমার বাবার অক্সিজেন হুড়মুড় করে কমে যাচ্ছিল। আমরা বিধায়কের অফিসে যোগাযোগ করি। তারাই হাসপাতালে ভর্তি করেন, ওষুধের ব্যবস্থা করেন।” গিরিশপার্কের বাসিন্দা কৃষ্ণাদেবী জানান, লকডাউনের সময় বিপদে পড়েছিলেন। হার্টের অসুখে ভোগা বৃদ্ধ স্বামীর ওষুধ ফুরিয়ে গিয়েছিল। বিধায়কের অফিসে ফোন করলে, ভলেন্টিয়াররা ওষুধ এবং খাবারের ব্যবস্থা করেন।
কেবল অসুস্থের পাশে দাঁড়ানোই নয়, যখন মহামারী ভয়ংকর আকার ধারণ করে, সেই সময় কোভিড সেবাকর্মীদেরও পাশে থেকেছেন বিধায়ক। পোস্তা, গিরিশপার্ক, বউবাজার থানা থেকে তাঁদের ‘হেল্থ কিট’ বিলি করা হয়। এছাড়াও লকডাউন এবং ইয়াস ঝড়ের সময় চাল, পেঁয়াজ, শুকনো খাবার বণ্টন করা হয় বিধায়কের অফিস থেকে।
বস্তিবাসী শীতল দেবী বলেন, “কাজ চলে গিয়েছিল। বাজার বন্ধ ছিল। কোনও আয় ছিল না। ঘূর্ণিঝড়ের পরে আমদের জন্য রেশন সামগ্রী এবং ত্রিপলের ব্যবস্থা হয়েছিল।” দিনমজুর মহমম্মদ ইরফান বলেন, “লকডাউনের সময় খিচুড়ি এবং শুকনো খাবার পেয়েছি আমরা। কেউ আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চায়নি।” বহু বাসিন্দাই বলছেন, গত পাঁচ বছরে বিধায়কের অফিস প্রশাসনিক দপ্তরের চেয়ে স্থানীয় সহায়তাকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্তা সম্পর্ক এমন ইতিবাচক ধারণা নির্বাচনী সমর্থনে রূপান্তরিত হবে কিনা তা ব্যালট বাক্সেই পরীক্ষা হবে।