• হামলার পর মদ কিনে পার্টি করে অভিযুক্তরা, ত্রিপুরার পড়ুয়া খুন: দেরাদুন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
    বর্তমান | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • দেরাদুন: বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডে খুন হয়েছেন ত্রিপুরার পড়ুয়া অ্যাঞ্জেল চাকমা। এবার খুনের তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এফআইআর দায়েরে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, নিয়ম মেনে যথাযথ ধারাও যোগ করা হয়নি বলে দাবি। অ্যাঞ্জেলের পরিবারের অভিযোগ, এমন গুরুতর হিংসাকে শুরু থেকেই বড্ড ‘ছোটো’ করে দেখেছে দেরাদুন পুলিশ। 

    অ্যাঞ্জেলের উপর হামলার পর দোকানে গিয়ে মদ কিনেছে অভিযুক্তরা। দেদার পার্টিও করেছে। এক্ষেত্রে ঘটনার পাঁচদিন পর পাঁচ অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। এমনই সমালোচনার মুখে ড্যামেজ কন্ট্রোলে ইতিমধ্যেই মৃত অ্যাঞ্জেলের বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। এরইমধ্যে একের পর এক ব্যাখ্যা দিয়ে চলেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। কিন্তু তাতে জনরোষ থামানো যায়নি। মঙ্গলবারও ত্রিপুরার একাধিক জায়গায় মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়েছেন বহু মানুষ। সন্তান হারিয়ে পরিবারের একটাই দাবি, দোষীদের যেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

    অ্যাঞ্জেলের খুনের পর এপর্যন্ত যে তদন্ত হয়েছে, তা নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠেছে। মূল ঘটনা ৯ ডিসেম্বরের। পরের দিন ১০ ডিসেম্বর অ্যাঞ্জেলের ভাই মিশেল পুলিশের কাছে পুরো বিষয়টি জানায়। কিন্তু তড়িঘড়ি কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। শুধুমাত্র একটি জেনারেল ডায়েরি করা হয়। ঘটনার ৩ দিন পর অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। এখানেও গাফিলতি রয়েছে। নিয়ম মেনে এই ধরনের হিংসার ঘটনায় যথাযথ ধারাও যোগ করা হয়নি। যদিও পুলিশের ব্যাখ্যা, প্রাথমিকভাবে বর্ণবিদ্বেষ ও হিংসার ঘটনার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাই এই পদক্ষেপ। ঘটনার পাঁচদিন পর ১৪ ডিসেম্বর পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত যজ্ঞরাজ অবস্থি এখনও অধরা। তা নিয়েও ক্ষোভ বাড়ছে। 

    অ্যাঞ্জেলের মামা মোমেন চাকমার কথায়, ‘বারবার বলেছিল ও ভারতীয়। কিন্তু তাও দুষ্কৃতীরা রেহাই দেয়নি। অ্যাঞ্জেলের বাবা বিএসএফ জওয়ান। ও বলেছিল চাকরি পেলে বাবা যেন স্বেচ্ছাবসর নেয়। সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের যেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।’
  • Link to this news (বর্তমান)