নির্দিষ্ট স্টেশনে পৌঁছল না অমৃতসর মেল সহ দু’টি ট্রেন, চরম ভোগান্তি
বর্তমান | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: একটি জোনের ‘ডাইভার্ট’ করা রুট মানল না অন্য রেলওয়ে জোন। নজিরবিহীনই বটে। ফল? ১) পরিবর্তনের পর ঘোষিত নির্ধারিত রুটের স্টেশনে পৌঁছলই না দু’টি ট্রেন। ২) ঠান্ডার মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষাই সার হল সাধারণ যাত্রীদের। দু’টি জোনের মধ্যে সমন্বয়ের এহেন বেনজির অভাব দেখে চোখ কপালে উঠেছে রেল বিশেষজ্ঞ মহলের।
ঘটনাচক্রে দু’টিই বাংলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন। একটি অমৃতসর-হাওড়া মেল এবং অন্যটি রাজেন্দ্রনগর-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। আর যে দু’টি জোনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তার একটি পূর্ব রেল। অন্যটি পূর্ব-মধ্য রেল। জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগে বিহারের জামুইয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি মালগাড়ি। তার ফলে রেলের পূর্ব এবং পূর্ব-মধ্য শাখায় কয়েকদিন ধরেই ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। একাধিক ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তিত হয়েছে। অর্থাৎ, রুট ‘ডাইভার্ট’ হয়েছে। উল্লিখিত দু’টি ট্রেনের ক্ষেত্রেও একইভাবে রুট পরিবর্তিত হয়েছিল।
সরকারি সূত্রের খবর, পূর্ব রেল আগেই যাত্রাপথ পরিবর্তনের কথা জানিয়ে ঘোষণা করেছিল, পরিবর্তিত রুটে পাটনা, গয়া, ধানবাদ এবং আসানসোল হয়ে যাবে সংশ্লিষ্ট দু’টি ট্রেন। সেইমতোই প্রস্তুতি ছিল রেল যাত্রীদের। অভিযোগ, সমন্বয়ের অভাবে সেই পরিবর্তিত রুট না মেনে পূর্ব-মধ্য রেল ওই দু’টি ট্রেন চালিয়ে দেয় কিউল, ভাগলপুর এবং বর্ধমান দিয়ে। অর্থাৎ, পরিবর্তিত রুটে যেসব স্টেশনে অমৃতসর-হাওড়া মেল এবং রাজেন্দ্রনগর-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের স্টপ দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে ট্রেন থামেইনি। এহেন নজিরবিহীন ঘটনার পর অবশ্য হাওড়া ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের (ডিআরএম) কার্যালয় থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দায় ঠেলা হয়েছে পূর্ব মধ্য রেলের দানাপুর ডিআরএম অফিসের দিকেই। যদিও পূর্ব মধ্য রেল এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি।
আর রেলের শীর্ষ মহল? স্রেফ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে তারা মেতে বন্দে ভারত নিয়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইট করে জানিয়েছেন, কোটা- নাগড়া রেল শাখায় বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের ট্রায়াল রান করেছে কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি। সেই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়ায় বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠানো গিয়েছে। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে একটি ভিডিও পোস্টও করেছেন রেলমন্ত্রী। একইসঙ্গে বুঝিয়েছেন, সর্বোচ্চ গতিতে ছুটলেও ওই ট্রেনে কোনও ঝাঁকুনি হচ্ছে না। কিন্তু সাধারণ মেল-এক্সপ্রেসের যাত্রীদের হয়রানি নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ মন্ত্রক।