পরিচারক দম্পতির অত্যাচার অনাহারে মৃত্যু হল গৃহকর্তার
বর্তমান | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
লখনউ: দীর্ঘদিন অনাহারে থেকে বৃদ্ধের মৃত্যু। বাড়ি থেকে কঙ্কালসার অবস্থায় উদ্ধার বৃদ্ধের মানসিক ভারসাম্যহীন কন্যা। পরিচারিকা ও তাঁর স্বামীর অত্যাচারই এমন পরিণতির নেপথ্যে বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের মাহোবা জেলার এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃত ওম প্রকাশ সিং রাঠোর ছিলেন রেলের আধিকারিক। ২০১৫ সালে চাকরি থেকে অবসরের একবছরের মধ্যে তাঁর স্ত্রী মারা যান। একমাত্র কন্যা মানসিক ভারসাম্যহীন। মেয়ের দেখভাল ও রান্নাবান্নার জন্য তিনি রাম প্রকাশ কুশওয়াহা ও তাঁর স্ত্রী রাম দেবীকে কাজে রাখেন। ওম প্রকাশের ভাই অমর সিংয়ের অভিযোগ, সম্পত্তি হাতানোর লোভে টানা ৫ বছর তাঁর দাদাকে বাড়িতে আটকে রাখে ওই পরিচারিক ও তাঁর স্ত্রী। কোনও আত্মীয়কে তাঁরা বাড়িতে ঢুকতে দিতেন না। কেউ যেতে চাইলে নানা অজুহাত দেখাতেন। ওম প্রকাশকে কারও সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ রাখতে দিতেন না। এরই পাশাপাশি ওম প্রকাশ ও তাঁর মেয়ের উপর চলত অত্যাচার। একটা ঘরে তাঁদের আটকে রাখা হত। খেতে দেওয়া হত না বললেই চলে। অথচ আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে সাজিয়ে গুছিয়ে মিথ্যা বলতেন রাম প্রকাশ।
এদিকে, দীর্ঘ অবহেলা ও অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে পড়েন অশীতিপর ওম প্রকাশ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আত্মীয়রা এই খবর পেয়েই বাড়িতে হাজির হন। ততক্ষণে সস্ত্রীক চম্পট দেয় রাম প্রকাশ। খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে বাড়ি থেকে কঙ্কালসার অবস্থায় ওম প্রকাশের মানসিক ভারসাম্যহীন কন্যাকে উদ্ধার করে। অনুমান, দীর্ঘদিন অনাহারে এই অবস্থা হয়েছে তাঁর। ওম প্রকাশের দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে পলাতক পরিচারক দম্পতির।