নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নতুন বছরে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের প্রচারে রাজ্যে ১০টি রাজনৈতিক সমাবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির শীর্ষ সূত্রে এখবর জানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ, জঙ্গলমহল এবং রাজ্যের মতুয়া অধ্যুষিত এলাকাজুড়ে প্রধানমন্ত্রীর ঠাসা কর্মসূচির বন্দোবস্ত হতে চলেছে। যদিও কলকাতায় মোদির ব্রিগেড সমাবেশ আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে রীতিমতো সংশয় তৈরি হয়েছে।
আগামী বছরই ভোট হবে অসম, কেরল, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির মতো রাজ্যেও। তবে বিজেপির কাছে বাংলার ভোট আক্ষরিক অর্থেই ‘প্রেস্টিজ ফাইট’। আর সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সভা-সমাবেশ এবং রোড শোয়ের উপরই সবথেকে বেশি জোর দিতে হচ্ছে বঙ্গ বিজেপিকে। কারণ বাংলায় দলে উপযুক্ত মুখের অভাব। তাই ভরসা সেই মোদি।
যদিও ঠিক কোথায় কোথায় মোদি সভা করবেন, তা এখনই চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে যেসব স্থান নিয়ে আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে, তার একটি সম্ভাব্য তালিকা ‘বর্তমান’-এর হাতে এসেছে। তার থেকে জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে রাজ্যের আটটি স্থানের নাম নিয়ে আলোচনা একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সেগুলি হল শিলিগুড়ি, আসানসোল, কলকাতা, হাওড়া, বারাসত অথবা বনগাঁ, জঙ্গলমহলের কোনও একটি এলাকা, বসিরহাট এবং মালদহ। সম্ভাব্য তালিকা থেকেই স্পষ্ট, বাংলায় ভোটের আগে একইসঙ্গে সংখ্যালঘুদেরও বার্তা দিতে তৎপর হচ্ছেন মোদি। তবে তাঁর ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে। এর কারণ হিসেবে দলীয় সূত্রের দাবি, তুলনায় ছোট ছোট সভায় অনেক বেশি নেতা-কর্মী, সমর্থকদের জড়ো করা যায়। অর্থাৎ, ‘ভিড়’ অনেক বেশি স্পষ্ট করা যায়। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, এক্ষেত্রে কি ব্রিগেডে পর্যাপ্ত ‘ভিড়’ না হওয়ার আশঙ্কাই কুরে কুরে খাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে?
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় নেতৃত্বের একাংশের দাবি, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়। ভোটমুখী কোনও রাজ্যেই মোদিকে ছাড়া বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি কল্পনাও করা যায় না। বাংলাতেও সেইমতো প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। রাজ্য সফর সেরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লিতে ফেরার পরেই এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।