নয়াদিল্লি: এলপিজির জন্য ভারতের কাছে পশ্চিম এশিয়ার বিকল্প হয়ে উঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে শুল্ক-যুদ্ধ পরবর্তী বর্তমান পরিস্থিতিতে। নতুন বছরের শুরুতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ থেকে বড়ো পরিমাণে এলপিজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। পশ্চিম এশিয়ার তুলনায় আমেরিকা অনেক দূরে। বাড়তি দূরত্বের কারণে পরিবহণ সহ অন্যান্য খরচে বৃদ্ধি পাবে। ফলে বাড়বে আমদানি খরচ। তাই এলপিজিতে ভরতুকি নির্ধারণের ফর্মুলা পুনর্মূল্যায়ন করতে পারে কেন্দ্র। সেই সূত্রেই নতুন বছরে ভরতুকি ছাঁটাই এবং রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা চরমে।
সরকারি সূত্রে খবর, ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি সম্মিলিতভাবে আমেরিকা থেকে বছরে প্রায় ২২ লক্ষ টন এলপিজি আমদানি করতে চলেছে। নতুন বছরের গোড়া থেকেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে খবর। সেই সংক্রান্ত খরচ নয়া মাপকাঠিতে নির্ধারিত হবে। চিরাচরিতভাবে ভারতের এলপিজি বাজারে একতরফাভাবে কর্তৃত্ব করে এসেছে পশ্চিম এশিয়া থেকে আমদানি করা গ্যাস। সেই আমদানির পরিবহণ ও লজিস্টিক খরচ ছিল অপেক্ষাকৃত কম ও স্থিতিশীল। আর তাই দীর্ঘদিনের পরিচিত আন্তর্জাতিক মাপকাঠি ‘সৌদি কনট্র্যাক্ট প্রাইসে’র সাপেক্ষে এতদিন ভারতে এলপিজি-ভরতুকির পরিমাণ নির্ধারিত হয়ে এসেছে। যদিও বিকল্প হিসেবে আমেরিকাকে জায়গা করে দেওয়ায় ভারতের এলপিজি সরবরাহ-শৃঙ্খল সংক্রান্ত অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য বদল নিশ্চিত বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তখনও তার মাশুল গুনতে হবে সেই সাধারণ মানুষকেই।