তুলসীহাটার কর্পূরগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়, সীমানা প্রাচীর না থাকায় রাতে বসছে নেশার আসর
বর্তমান | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: সীমানা প্রাচীর নেই স্কুলে। দিনে স্কুল চত্বরেই চলছে গোরু ছাগলের অবাধ বিচরণ। রাতে বসে নেশার আসর। অপরদিকে রাতের অন্ধকারে স্কুলে বারবার চুরির ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে সীমানা প্রাচীর তৈরির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের তুলসীহাটা চক্রের কর্পূরগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই চিত্র সামনে এসেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তুলসীহাটা চক্রের শেষ সীমানায় অবস্থিত স্কুলটি। স্কুলে সীমানা প্রাচীর না থাকায় রাতে স্কুলের বারান্দায় বসে নেশার আসর। সকালে এসে শিক্ষক ও পড়ুয়ারা দেখতে পায় স্কুলের বারান্দা ও মাঠে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে মদের বোতল, পোড়া সিগারেট, গুটখার প্যাকেট, পোড়া ফয়েল পেপার ও দেশলাই কাঠি। পড়াশোনা করার আগে সে সব পরিষ্কার করতে হচ্ছে তাদের। স্কুলের এমন ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও কোনও স্থায়ী সমাধান না হওয়ায় বিরক্ত পড়ুয়া, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
এক অভিভাবক ছোটন সেখ বলেন, সীমানা প্রাচীর না থাকায় বহিরাগতরা ঢোকার সুযোগ পাচ্ছে। রাতে নেশাখোরদের আড্ডার জায়গা হয়ে উঠেছে স্কুল মাঠ ও বারান্দা। বসছে নেশার আসর। আর যার ফলে নষ্ট হচ্ছে স্কুলের পরিবেশ। এসব বন্ধ করার জন্য অবিলম্বে স্কুলের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা প্রয়োজন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছ’টি ক্লাস রয়েছে। চার জন স্থায়ী শিক্ষক ও তিন জন আংশিক শিক্ষক এবং ১২৯ জন পড়ুয়া রয়েছে। মাত্র তিনটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। একটি শ্রেণিকক্ষে দু’টি করে ক্লাস বসাতে হয়। মিড ডে মিল রান্নাঘর থাকলেও ডাইনিং রুম নেই। স্কুলে সীমানা প্রাচীর না থাকায় শুধু নেশার আসর বসছে এমন নয়। মাঝেমধ্যেই স্কুলের বিভিন্ন দরজার তালা, জানলা ভাঙচুর করা হচ্ছে। রবিবার রাতে মিড ডে মিলের রান্নাঘরের তালা ভেঙে একটি গ্যাস সিলিন্ডার চুরি করে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এর আগেও একাধিকবার চুরি হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি এবং অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে বিষয়টি জানিয়েছি।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মার্জিনা খাতুন বলেন, সীমানা প্রাচীর বিষয়ে কেউ জানায়নি। তবে বিষয়টি দেখছি। তুলসীহাটা চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক তৌফিক আহমেদ বলেন, সীমানা প্রাচীরের জন্য ব্লক প্রশাসনের নিকট প্রস্তাব পাঠাব এবং জেলাতেও বিষয়টি জানাব। নিজস্ব চিত্র