সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: এসআইআরের হিয়ারিংয়ের নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ তুলে সামশেরগঞ্জ বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল কংগ্রেস। বিক্ষোভের জেরে মঙ্গলবার সকালে সামশেরগঞ্জ বিডিও অফিস চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে এই বিক্ষোভ। এদিনের বিক্ষোভে অংশ নেন বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। তিনি হিয়ারিংয়ে যাদের ডাকা হবে, তাদের তালিকা প্রকাশের দাবি তুলেছেন। তাঁর যুক্তি নির্দিষ্ট তালিকা না থাকায় সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। অকারণে মানুষ আতঙ্কিত হচ্ছে। তালিকা প্রকাশ করে সুষ্ঠুভাবে হিয়ারিংয়ের দাবি তুলেছেন তাঁরা। সাধারণ মানুষকে হয়রান করে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় বিক্ষোভ মিছিল থেকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। তারপরে হিয়ারিংয়ের কাজ শুরু হয়। জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসক সুধীরকুমার রেড্ডি বলেন, আসলে কী হয়েছে, তা খোঁজ নেব।
এসআইআর-এর হিয়ারিংয়ের নামে পরিকল্পিতভাবে সাধারণ ভোটারদের হয়রানি করা হচ্ছে। কোন কোন ভোটারকে হিয়ারিংয়ে ডাকা হবে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও তালিকা এখনও প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। হিয়ারিংয়ের ২৪ ঘণ্টা আগে ভোটারদের ডাকা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে সকালে নোটিশ দিয়ে দুপুরে হিয়ারিংয়ে ডাকা হচ্ছে। তাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পরিযায়ী শ্রমিকরা বাইরে থাকায় বেজায় সমস্যায় পড়েছে। কয়েক ঘণ্টার নোটিশে ভিন জেলা বা রাজ্যে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা হিয়ারিংয়ে আসতে পারছেন না। মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। তাতে মানুষ আতঙ্কে পড়ছেন। যাদের এসআইআর হিয়ারিংয়ে ডাকা হবে, এমন ভোটারের পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশের দাবি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। হিয়ারিংয়ের টেবিলে বিএলএদের রাখার দাবিও করা হয়েছে। বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য আমরা পথে নেমেছি। ভোটারদের হয়রানি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। প্রশাসনকে স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, হিয়ারিং টেবিলে বুথ লেভেল এজেন্টদেরও থাকতে দিতে হবে।
অপরদিকে এদিন সকালে ফরাক্কা বিডিও অফিসেও বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। সাধারণ ভোটারদের হয়রানির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। সুষ্ঠুভাবে হিয়ারিংয়ের দাবি তুলেছে তারা। জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ওবাইদুর রহমান বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও নির্বাচন কমিশন যৌথ ভাবে পরিকল্পনা করে বাঙালি ভোটারদের নাম বাদ দিতে এই চক্রান্ত করছে। ফলে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ সকলকেই এসে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ভোটের পরেই এসব কাজ আরও সময় নিয়ে করতে পারত। তা না করে তড়িঘড়ি এসব করার কী মানে হয়। -নিজস্ব চিত্র