৭৫ বছর বয়সি গেরুয়া নেতাদের ভবিষ্যতের প্রশ্নে অস্বস্তিতে শাহ
বর্তমান | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘পার্টি উইথ এ ডিফারেন্স’, বিজেপি সম্পর্কে এই প্রবাদ এখন বহুল প্রচলিত। তবে নীতি প্রণয়নের প্রশ্নে কেন্দ্রের শাসকদলের নিয়মবিধি যে ক্ষেত্র বিশেষে ‘ডিফারেন্স’ হয়, তা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। সৌজন্যে পার্টি কিংবা সরকারে থাকা পদাধিকারীদের বয়স। ৭৫ বছর পেরলেই বাণপ্রস্থে যাওয়ার অলিখিত নিয়ম তৈরি হয়েছে বিজেপিতে। ২০১৪ সাল থেকেই তা চালু হয়েছে। সেই বছরই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন গেরুয়া অক্ষের ‘পোস্টার বয়’ নরেন্দ্র মোদি। কিছুদিনের মধ্যেই লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলি মনোহর যোশির মতো দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মূল স্রোত থেকে সরে যেতে হয়েছিল। সেই সময় গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বয়স ছিল ৬৫ বছর। একদশক টানা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ৭৫ বছর পূর্ণ করেছেন মোদি। উল্লেখ্য, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত এ বছরই ৭৫ বছর পার করেছেন। এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিজেপির সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মোদির ডেপুটি অমিত শাহকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ২০১৪ সাল থেকে পার্টি ও সরকারে আপনারা নানা সংস্কার এনেছেন। এক্ষেত্রে ৭৫ বছরের বেশি বয়সি পদাধিকারীদের মার্গদর্শক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন আপনারা। আপনি কী মনে করেন, বর্তমানে যাঁরা পার্টি কিংবা সরকারের বিভিন্ন পদে রয়েছেন, তাঁদের স্বেচ্ছায় মার্গদর্শকের ভূমিকা পালন করা উচিত? জবাবে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েন অমিত শাহ। তিনি প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে তিনি বলেন, আপনাকে আলাদা করে এর উত্তর দেব আমি। উল্টে সাংবাদিককে তাঁর পরামর্শ, আপনাকে বিজেপি নিয়ে ভাবতে হবে না। আপনি বরং বাংলা নিয়ে ভাবুন।