• স্বাধীন ভারতে ব্যর্থতম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কটাক্ষ অভিষেকের, আজ দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ তৃণমূলের
    বর্তমান | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ঝটিকা সফরে বাংলায় এসে পশ্চিমবঙ্গের সম্পর্কে যে তথ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিয়ে গিয়েছেন, তার তীব্র প্রতিবাদ জানাল তৃণমূল। দিল্লিতে বিস্ফোরণ, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গিহানা, অনুপ্রবেশের ঘটনার তথ্য তুলে ধরে অমিত শাহকে ‘স্বাধীন ভারতে ব্যর্থতম ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’র আখ্যা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে এসআইআর আবহে আজ, বুধবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে। এসআইআর প্রক্রিয়ায় শুনানি পর্বে মানুষের দুর্ভোগের বিষয়গুলি তুলে ধরবেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

    সোমবার রাতে কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। বাংলায় অনুপ্রবেশের ঘটনার জন্য তৃণমূল সরকারকে দায়ী করেছেন শাহ। যার পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাতে। এতবছর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বসে আছেন শাহ। উনি অনুপ্রবেশ আটকাতে না পারলে, ব্যর্থতার তাঁর। আর তাঁর সময়েই পহেলগাঁওতে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে পালিয়ে যাচ্ছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ব্যর্থ ও অপদার্থতম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত। 

    অনুপ্রবেশের ইস্যুতে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ এবং লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে অমিত শাহকে খোঁচা দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, অনন্ত মহারাজ নিজেই বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুপ্রবেশকারী ও পাকিস্তানি। আবার সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেছেন আগামী দিনে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া থাকবে না। অনন্ত মহারাজ কিংবা জগন্নাথ সরকারের ওই বক্তব্যের পরেও, কেন তাঁদের বিরুদ্ধে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি? প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক। 

    এদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ভুল উচ্চারণ অমিত শাহ করেছেন বলে ভিডিও প্রকাশ করে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। পাশাপাশি অভিষেকের কটাক্ষ, বিজেপি হল বাংলা বিরোধী। ওদের নেতারা পরিযায়ী পাখি। ভোটের সময় আসে। নির্বাচনের কথা মনে করেই আসে। কিন্তু সারা বছর বাংলার মানুষের খোঁজ নেয় না। তিন মাস পর বাংলার মানুষ বিজেপিকে লাড্ডু দেবে। অন্যদিকে অমিত শাহের মুখে কমিউনিস্ট জমানার কথা বারবার উঠে এসেছে। যা নিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, আমরা শূন্য। শূন্যদের এত ভয়! আসলে বাম আমলেই বাংলা নতুন দিশা দেখেছিল। ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছিল আপামর বঙ্গবাসী। বাংলায় বামেরা প্রাসঙ্গিক তো বটেই, মানুষের কাছেও তা স্পষ্ট। এখন বিজেপির পরিযায়ী নেতারাও তা বুঝতে পারছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)