চিড়িয়াখানা লাগোয়া স্থানে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার ১১ আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেফতার এক
বর্তমান | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আলিপুর চিড়িয়াখানার পাশে অরফানগঞ্জ রোডে মাটি খুঁড়ে ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল আলিপুর থানা। এই জমিটিকে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার ডেরা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার ভোরে এই জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে রাজেশকুমার সাউ নামে এক ব্যক্তিকে। অভিযুক্ত রাজেশ এক দাবাং বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। অভিযোগ যে-জায়গায় মাটি খুঁড়ে এই আর্মস উদ্ধার হয়েছে সেটি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। বেআইনিভাবে এই জমিটি দখল করে রেখেছিলেন ওই বিজেপি নেতা। তাঁর নির্দেশমতো এখানে আগ্নেয়াস্ত্র রাখা হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি।
আলিপুর থানার কাছে খবর আসে, চিড়িয়াখানার জমিটি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছেন এক বিজেপি নেতা। সেখানে আগ্নেয়াস্ত্রের ডেরা বানানো হয়েছে। মাটির নীচে রাখা হয়েছে সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র। বিহার থেকে এই আর্মস আনা হচ্ছে। এখানে আর্মস কেনাবেচার ব্যবসা চলছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আলিপুর থানার ওসি সরোজ প্রহরাজের নেতৃত্বে একটি টিম অরফানগঞ্জ রোডে ওই জমিতে পৌঁছোয়। ভিতরে ঢুকে মাটি খুঁড়তে শুরু করেন অফিসাররা। তাঁদের নজরে পড়ে আগ্নেয়াস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছে। ১১টি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র মেলে। কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ওই জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অস্ত্র মুঙ্গের থেকে আনা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, চিড়িয়াখানার এই জমিটি বেআইনিভাবে জবরদখল করে রেখেছিলেন এক বিজেপি নেতা। তাঁর কথামতোই এখানে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করে মাটির তলায় পুঁতে রাখা হত। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বিজেপি নেতার নাম জড়ানোয় বিপাকে পড়েছে গেরুয়া পার্টি। এই বিষয়ে তাঁকে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা। মুঙ্গেরে কারা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করত, তার শিকড় খুঁজতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে স্ট্র্যান্ড রোডে মঙ্গলবার দুই যুবককে আটক করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। জেরায় পুলিশকে জানায়, সম্পর্কে তারা ভাই হয়। রবীন্দ্র প্রসাদ ও জিতেন্দ্র প্রসাদ নামে দুই ভাইয়ের বাড়ি হাওড়ার পিলখানা এলাকায়। তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এই অস্ত্র তারা ডেলিভারি করতে যাচ্ছিল। বিহার থেকে এগুলি আনা হয়েছিল বলে ধৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে।