• সন্দেহজনক আর নন, শুনানি থেকে মুক্তি ৮ লক্ষ ভোটারের, নোটিশ ‘মকুব’, স্বস্তি পেতে পারেন আরও বঙ্গবাসী
    বর্তমান | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সন্দেহজনক ভোটার তালিকায় আর নেই ৮ লক্ষ ভোটার! ফলে তাঁদের শুনানিতে ডাকা হবে না। কমিশন সূত্রে এমনটাই খবর। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর প্রায় ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ভোটারকে সন্দেহজনকের তালিকায় রেখেছিল কমিশন। এইসব ভোটারদেরও শুনানির সম্মুখীন হওয়ার কথা। জানা যাচ্ছে, এই তালিকায় থাকা ৮ লক্ষ ভোটার যে নথি পেশ করেছিলেন, তা ইতিমধ্যেই গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। ফলে তাঁদের আর শুনানির সম্মুখীন হতে হবে না। 

    সন্দেহজনক ভোটারদের তালিকা প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও) তা পাঠিয়ে দিয়েছিল কমিশন। সেই মতো তাঁদের থেকে নথি সংগ্রহ (১৩টি গ্রহণযোগ্য) করে অ্যাপ মারফত তা আপলোডের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই বিএলওরা সেই কাজ শেষ করেছেন। আপাতত সেই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখা চলছে। সূত্রের খবর, এর মধ্যে ৮ লক্ষ ভোটারের নথি গ্রহণযোগ্য বলে চিহ্নিত করেছে কমিশন। ফলে তাঁদের আর শুনানিতে ডাকার প্রয়োজন নেই। 

    একাধিক কারণে ভোটারদের সন্দেহের তালিকায় রেখেছিল কমিশন। তার মধ্যে একটি বড় অংশের ছিল বাবার নামে গরমিল। অর্থাৎ ২০০২ সালের তালিকায় ভোটারের বাবার যে নাম উল্লেখ ছিল, ২০২৫ সালের তালিকায় সঙ্গে তার মিল নেই। কারও ক্ষেত্রে নামের বানান ভুল, কারও বা আবার নামের মাঝে ‘কুমার’, ‘চন্দ্র’, ‘রঞ্জন’ উল্লেখের হেরফেরে সমস্যা। কমিশনের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, মোট ৮৫ লক্ষ ১ হাজার ৪৮৬ জন ভোটারের এই ধরনের সমস্যা ছিল। যে ৮ লক্ষ নথি গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে, তাদের সিংহভাগেরই বাবার নামে সমস্যা ছিল বলে জানা যাচ্ছে। আরও জানা যাচ্ছে, বেশিরভাগ ভোটারই নথি হিসেবে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড জমা দিয়েছিলেন। আর সহজেই তা গ্রহণযোগ্য বলে গণ্য করেছে কমিশন। আপাতত এই ধরনের ভোটারদের জমা পড়া বাকি নথি যাচাইয়ের কাজ চলছে। ফলে শুনানি থেকে ছাড় পাওয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    এদিকে, মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণে রাজ্যের স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের এসআইআরের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের কাছে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। রাজ্যের সব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিএলও   হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। পরীক্ষার দিনগুলি যাতে তাঁদের কমিশনের কাজ থেকে ছাড় দেওয়া হয়, লিখিতভাবে সেই আবেদন জানানো হয়েছে দিল্লিতে। 
  • Link to this news (বর্তমান)