নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এসআইআর পর্বে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট এবং পার্মানেন্ট রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট নেওয়ার হিড়িক পড়েছে। কলকাতা পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনে এই সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের আবেদনগুলি নিয়মিত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কলকাতা কালেক্টরেটের অফিসে। রোজ গড়ে অন্তত ৮০টি ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের আবেদন জমা পড়ছে বলে খবর। এই সার্টিফিকেট পেতে কোথায় আবেদন করতে হবে, কী কী নথিপত্র লাগবে—এসব তথ্য জানিয়ে একটি বার্তা মেয়রের অফিসের তরফে কাউন্সিলারদের পাঠানো হয়েছে। তাঁদের কাছে কোনও নাগরিক এ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে এলে সহজেই তাঁরা সমাধানের পথ বাতলে দিতে পারবেন। যদিও এসআইআরের জন্য ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন অনেক বেড়ে গিয়েছে বলে মানতে নারাজ কলকাতা কালেক্টরেট কর্তৃপক্ষ।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ঘোষণা করেছেন, রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পুরসভা থেকে দেওয়া হবে। ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের জন্যও আবেদন করা যাবে পুরসভাতেই। এতদিন পর্যন্ত রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট সহ শিক্ষা এবং চাকরিতে প্রয়োজনীয় অন্যান্য শংসাপত্র টাউন হল থেকে দেওয়া হত। বর্তমান পরিস্থিতিতে আম জনতার সুবিধার কথা মাথায় রেখেই ধর্মতলায় পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনে নতুন কাউন্টার খোলা হয়েছে। ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের আবেদন সেখানেই করা যাচ্ছে। এছাড়া, পুরসভার বরো অফিস এবং বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে এই সার্টিফিকেটগুলির জন্য আবেদন নেওয়া হচ্ছে। পুরসভার এক কর্তা বলেন, ‘রেসিডেন্সিয়াল ও ডোমিসাইল সার্টিফিকেট প্রায় একরকম জিনিস। পার্মানেন্ট রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পুরসভা ইস্যু করে। আর ডোমিসাইল সার্টিফিকেট ইস্যু করে কলকাতা কালেক্টরেট। এই শংসাপত্র পেতে গেলে কোনও জয়াগায় অন্তত ১৫ বছর বসবাস বাধ্যতামূলক। সেই সংক্রান্ত প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়। এসআইআরের শুনানিতে ডোমিসাইল সার্টিফিকেটও গ্রহণযোগ্য হওয়ায় আম জনতার সুবিধার্থে মেয়র পুরসভায় নয়া কাউন্টার খোলার ব্যবস্থা করেছেন। আমাদের এখানে আবেদন এলেই আমরা সেগুলি কালেক্টরেটে পাঠিয়ে দিচ্ছি। সার্টিফিকেট তৈরি হওয়ার পর সেগুলি নিয়ে এসে পুরসভার কাউন্টার থেকেই দিয়ে দেওয়া হবে।’
এদিকে, কলকাতা কালেক্টরেট সূত্রে খবর, এসআইআর পর্বে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন আসা শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে রোজ অন্তত ৮০ থেকে ৯০টি আবেদন জমা পড়ছে। অফিসারদের অবশ্য বক্তব্য, যখন জয়েন্ট বা সমগোত্রীয় কোনও পরীক্ষা হয় কিংবা সেনা, রেল বা কলকাতা পুলিশ সহ অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষা হয়, তখনও এই ডোমিসাইল সার্টিফিকেট দরকার হয়। উদাহরণ দিয়ে এক কর্তা বলেন, ‘সেনার পরীক্ষার সময় টানা ১০ দিন ১৫০টি করে আবেদন জমা পড়েছিল। জয়েন্টের সময় এই সংখ্যাটা রোজ শতাধিক থাকে। ফলে এসআইআরের শুনানির জন্য রোজ বিপুল সংখ্যক আবেদন জমা পড়ছে, তেমনটা পুরোপুরি সঠিক নয়। তবে এটা ঠিক, সার্টিফিকেট সংগ্রহের একটা হিড়িক পড়েছে। নিজস্ব চিত্র