• রাত পোহালেই নতুন বছর, বর্ষবরণে জোর প্রস্তুতি চলছে শিল্পনগরীতে
    এই সময় | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, দুর্গাপুর: অপেক্ষা মাত্র ২৪ ঘণ্টার। তার পরেই নতুন বছরের উঠোনে পা দেবেন সকলে। কিন্তু কী আঙ্গিকে তাকে বরণ করা হবে?

    জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে দুর্গাপুরে। শহরের বড় হোটেল ও ক্লাবগুলিতে চলছে পরিবেশকে রঙিন করে তোলার আয়োজন। রয়েছে আলো ঝলমলে পরিবেশ ও লাইভ মিউজ়িকের তালে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। এই বর্ষবরণ উৎসবের মূল কেন্দ্র দুর্গাপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টার। যা শোনা যাচ্ছে, তাতে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই ভিড় উপচে পড়বে এখানে। বিশৃঙ্খলা রুখতে সিটি সেন্টার-সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হচ্ছে। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার ও মহিলা পুলিশকর্মীরা থাকবেন। এ ছাড়াও থাকবেন সাদা পোশাকে পুলিশকর্মীরা। যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে সন্ধ্যা থেকে রাস্তায় কড়া নজরদারি থাকবে ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মীদের।

    কয়েক বছর আগেও দুর্গাপুর শহরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলেন বিদেশী নৃত্যশিল্পীরা। তবে করোনার পরে তাতে বিধিনিষেধ জারি হয়। রেসিডেন্সি হোটেলের কর্ণধার তথা এডিডিএ-র চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলছিলেন, 'কোভিডের পরে আর বিদেশী শিল্পীদের আনা হয় না। কলকাতা থেকেই শিল্পীরা আসেন। নাচ-গান, র‍্যাম্প-শো, এমনই নানা ধরনের অনুষ্ঠান হয়।'

    নাচ-গান ছাড়াও থাকে দেদার খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও। কয়েক দিন আগে থেকেই হোটেলগুলি অনুষ্ঠানের প্রচার শুরু করে দিয়েছে। টিকিটও বিক্রি হচ্ছে বেশ। প্রতিটি অনুষ্ঠানে থাকবে ডিজে। তার সঙ্গে কোথাও র‍্যাম্প-শো, আবার কোথাও আইটেম ড্যান্স। সব মিলিয়ে জমজমাট ব্যাপার। সিটি সেন্টার অঞ্চলের এক হোটেলের ম্যানেজার সুব্রত রায়ের মন্তব্য, 'দু'বছর ধরে আমরা বর্ষবরণ উৎসব করছি। ভালো সাড়াও পেয়েছি। এ বারও অনেকে আমাদের হোটেলের উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য খোঁজ নিচ্ছেন। টিকিটের চাহিদা বেশ ভালো।'

    সিটি সেন্টার ছাড়া বেনাচিতি অঞ্চলে এখন একাধিক মল ও হোটেল তৈরি হয়েছে। সেখানেও বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। আলোয় সেজেছে গোটা শহর। দুর্গাপুরের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, 'কোনওরকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। আইনভঙ্গ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ মোতায়েন করা হবে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়।'

  • Link to this news (এই সময়)