• সক্রিয় হচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা, বিজেপির নিশানায় রবার্ট ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৪৭
    আনন্দবাজার | ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ হলেই রাজ্যে রাজ্যে মহিলাদের সমর্থন পেতে কংগ্রেস প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে মাঠে নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। গত শনিবার দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা ও তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরাও যোগ দিয়েছিলেন। আগামী সপ্তাহে দিল্লি থেকে আবার ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হয়ে উত্তরপ্রদেশে ঢুকলে প্রিয়ঙ্কা ফের তাতে যোগ দেবেন। ঠিক তার আগে আজ রবার্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করে বিজেপি গোটা গান্ধী পরিবারকে ‘কট্টর পাপী পরিবার’ বলে আক্রমণ করল। বিজেপির অভিযোগ, ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধী পরিবারের মতো এত দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবার আর আসেনি।

    রাজস্থানের একটি জমির মালিকানা হাতবদলে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগের তদন্তে ইডি রবার্টকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল। বঢরা রাজস্থান হাই কোর্টে মামলা খারিজ করার আর্জি জানান। কিন্তু গত সপ্তাহে রাজস্থান হাই কোর্ট রবার্টের আর্জি খারিজ করে দেয়। তাকে হাতিয়ার করেই আজ বিজেপি মাঠে নেমেছে। বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া রাহুল-সনিয়ার কাছে দাবি তুলেছেন, বাড়ির জামাইয়ের দুর্নীতি নিয়ে তাঁরা মুখ খুলুন।

    বিজেপির আক্রমণের মুখে কংগ্রেসকেই রবার্টের হয়ে জবাব দিতে মাঠে নামতে হয়েছে। দলের নেতারা দাবি করেছেন, রাজস্থানের ওই জমি নিয়ে রবার্টই প্রতারণার শিকার। ইডি তাঁকে অভিযুক্ত করেনি। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটও পেশ করেনি। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘বিজেপি ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্যে ভয় পেয়ে গিয়েছে।’’ কংগ্রেস নেতারা যখন এআইসিসি-র সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন, তখন রাহুলকে রবার্ট-প্রিয়ঙ্কার মেয়ে, তাঁর ভাগ্নির সঙ্গে দিল্লির একটি বাজারে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, জানুয়ারির শেষে রাহুলের যাত্রা শেষ হলে প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে প্রিয়ঙ্কার নেতৃত্বে মহিলা-মিছিল হবে। সনিয়ার বর্তমান লোকসভা কেন্দ্র রায়বরেলী থেকে ২০২৪-এর নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন প্রিয়ঙ্কা। তাই আগেভাগে বিজেপি তাঁর স্বামীকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে।

    বিজেপির অভিযোগ, রবার্টের সংস্থা ‘স্কাইলাইট হসপিটালিটি’ রাজস্থানের বিকানেরে ৬৯.৫৫ একর জমি বেআইনি ভাবে হস্তগত করেছিল। হেক্টর প্রতি এক লক্ষ টাকা দরে জমি কিনে তারা ৭.৪১ লক্ষ টাকা দরে বেচে দেয়। রাজস্থান পুলিশ এফআইআর দায়ের করার পরে ইডি তার তদন্তে নেমেছে।

    কংগ্রেসের পাল্টা যুক্তি, যে জমির কথা বলা হচ্ছে, রাজস্থানে বিজেপি সরকারের আমলেই সেই জমি দুই ব্যক্তিকে পুনর্বাসনের জন্য দেওয়া হয়। বিজেপি আমলেই তাঁরা তা অন্যদের বেচে দেন। প্রায় তিন বছর পরে বঢরার সংস্থা সেই জমি কেনে। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন মূল জমির বণ্টনই খারিজ করে দেয়। তদন্ত শুরুর পরে ইডি-র সমন পেয়ে বঢরার সংস্থা হাই কোর্টে আর্জি জানিয়েছিল, ইডি-র মামলার কপি তাদের দেওয়া হোক এবং মামলা খারিজ করে দেওয়া হোক। হাই কোর্ট বলেছে, বঢরাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। তাই তাঁদের কথায় ইডি-র মামলা খারিজ করা হবে না।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)